প্রতীকী ছবি৷

Hyderabad murder: প্রেমিকার আবদার, স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে খুন যুবকের! ৪৮ দিন পর ধরিয়ে দিল সিরিঞ্জ

হায়দ্রাবাদ: প্রেমিকার আবদার,তাই নিজের স্ত্রী তো বটেই, এমন কি দুই শিশুকন্যাকেও নৃশংস ভাবে খুন করলেন যুবক৷ স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর তাদের মৃত্যু গাড়ি দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথমে পুলিশের কাছে দাবি করেছিল হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা ওই যুবক৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪৮ দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ একটি সিরিঞ্জের সূত্র ধরেই খুনের রহস্যের সমাধান করে পুলিশ৷

পুলিশ জানিয়েছে, হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম বোড়া প্রবীন (৩২)৷ সে পেশায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট৷ অভিযোগ নিজের স্ত্রী কুমারী (২৯) এবং দুই শিশুকন্যা কৃশিকা (৫) এবং কৃতিকাকে (৩) গত ২৮ মে খুন করে প্রভীন৷ নিজের প্রেমিকা সোনি ফ্রান্সিসের কথা মতোই এই কাজ করে প্রভীন৷ স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর একটি ভাড়া বাড়িতে নিজের প্রেমিকার সঙ্গে থাকতে শুরু করে প্রবীন৷

আরও পড়ুন: দলের বৈঠকে মুকুলের কথা তুললেন শুভেন্দু! করলেন বড় দাবি, বিজেপি অফিসের বাইরে তখন বিরাট কাণ্ড

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিজের স্ত্রীকে অত্যন্ত কড়া ডোজের অ্যানেস্থিয়ার ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করে প্রবীন৷ এর পর নিজের দুই শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে৷ এর পর দুই শিশুকন্যাকে গাড়ির সামনের আসনে বসিয়ে দেয় প্রবীন৷ নিজের স্ত্রীর দেহও ওই গাড়ির ভিতরে রেখে দেয় সে৷

দুর্ঘটনার নাটক প্রমাণ করতে স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর কয়েকদিন এই হাসপাতালে ভর্তি থেকে নিজের ছোটখাটো আঘাতের চিকিৎসা করায় প্রবীন৷ তার পর হায়দ্রাবাদে ফিরে এসে একটি ভাড়া বাড়িতে বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করে সে৷

তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, প্রথমে প্রবীনের স্ত্রীর শরীরে সুচ ফোটানোর দাগ দেথে সন্দেহ হয় পুলিশের৷ কারণ গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রবীনের স্ত্রী অথবা দুই শিশুকন্যার দেহে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না৷ ময়নাতদন্তের পর তিন জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ৷

পাশাপাশি, পুলিশের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি শুরু করে৷ তদন্তকারী অফিসাররা খেয়াল করেন, প্রবীন যতটা দাবি করেছিল, দুর্ঘটনা ততটাও বড় মাপের ছিল না৷ এর পরেই যে গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেটি তল্লাশি করে একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করে পুলিশ৷ আর এই সিরিঞ্জের সূত্রেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়৷

তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার বলেন, ওই সিরিঞ্জ উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাই৷ কিন্তু সিরিঞ্জ উদ্ধারের বিষয়ে আমরা অভিযুক্তকে কিছু জানাইনি৷ ফলে ওই যুবকের ধারণা হয়েছিল, এই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে৷ পুলিশও তাকে আর সন্দেহ করছে না৷

অভিযুক্ত প্রবীন নিশ্চিন্ত হয়েই হায়দ্রাবাদের বেসরকারি হাসপাতালে নিজের চাকরিতেও যোগ দেন৷ তার প্রেমিকা সোনি ফ্রান্সিসও ওই হাসপাতালের নার্স৷ শেষ পর্যন্ত ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ৷ এর পরই প্রবীনকে গ্রেফতার করে শুরু হয় জেরা৷ তখনই গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়৷