বেগুন এমনিতে খুবই পুষ্টিকর সবজি। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন পাতে বেগুন রাখা যেতে পারে। কিন্তু প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বছরের একটা সময় বেগুন খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিন্তু কাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য? সেটাই জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদন থেকে।বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসে বেগুন খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে তাঁদের, যাঁদের প্রথম সন্তান পুত্রসন্তান। অর্থাৎ প্রথম সন্তান পুত্র হলে অভিভাবকদের জ্যৈষ্ঠ মাসে বেগুন খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।মূলত বিশ্বাস অনুযায়ী, বছরের এই সময়টায় বেগুন খেলে পুত্রসন্তানের উপর দোষা পড়ে। তাই বলা হয় যে, যাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান জীবিত রয়েছে, তাঁদের বেগুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।লোকাল ১৮-এর সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিহারের মধুবনীর জ্যোতিষী পণ্ডিত দীপক মিশ্র। তিনি বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসে কিছু জিনিস খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।যেমন – সবজির মধ্যে খাওয়া চলবে না বেগুন। এমনিতে একাদশী, দ্বাদশীতে বেগুন খাওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি গোটা জ্যৈষ্ঠ মাস জুড়েও পাতে বেগুন না রাখাই উচিত। বিশেষ করে যাঁদের প্রথম সন্তান পুত্র, তাঁদের এই সময় একেবারেই বেগুন খাওয়া উচিত নয়।পণ্ডিতরা বলেন যে, জ্যৈষ্ঠ মাসে বেগুন খেলে দেবী লক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন এবং পুত্রসন্তানও রোগের মুখে পড়তে পারেন। আসলে মনে করা হয় যে, এই নিয়ম না মানলে সন্তান নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং দেবী লক্ষ্মী ঘরে আর অধিষ্ঠান করেন না।তবে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অবশ্য অন্য। বিজ্ঞানের বক্তব্য, এই জ্যৈষ্ঠ মাসে বেগুনের মধ্যে ছোট ছোট পোকা ধরে। যা আমরা হয়তো খালি চোখে দেখতেও পাই না। আর সেগুলি খেলে আমাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। বিশেষ করে গোটা মিথিলার মানুষ একথা বিশ্বাস করেন।দেশের সনাতনী মানুষরাও জ্যৈষ্ঠ মাসে বেগুন খেয়ে থাকেন। আর এই মাসে বাজারে বেগুন খুব সস্তাতেই বিক্রি হয়।Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা মানতে বাধ্য করেনা বা অনুরোধও নয় নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
