মানিকতলার বিধায়ক সুপ্কি পাণ্ডে৷

‘সাধনদা বেঁচে থাকলে আমি এখানে বসতাম না’, বিধানসভায় আবেগপ্রবণ সুপ্তি

 কলকাতা: টানা ৯ বার বিধায়ক হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। যার মধ্যে ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ সালে টানা তিনবার মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। যা অটুট ছিল তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ২ বছরের বেশি সময় পর উপনির্বাচন হল মানিকতলায়। আর উপনির্বাচনে জিতলেন সাধনের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। শুধু জেতেনইনি, সাধন পাণ্ডের চাইতে অনেক বেশি ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। যদিও এর পিছনে সাধন পাণ্ডেরই অবদান দেখছেন সুপ্তি।

সোমবার বিধানসভায় এসে অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সাধন পাণ্ডেকে ভোটের সংখ্যা দিয়ে মাপা যায় না। সাধন পাণ্ডে সেসবের ঊর্ধ্বে। তাঁর স্মৃতি প্রতিটি অলিতে গলিতে, কলোনিতে এবং বহুতলে রয়েছে। মানুষের মনে তিনিন রয়েছে। সাধনদা বেঁচে থাকলে আমি এখানে বসতাম না। তাঁর জীবনদর্শন ছিল লার্জার দ্যান লাইফ। আমার চেষ্টা ছিল বরাবর আমি ওনাকে এখানে দেখতে পাবো। কত বেশি মানুষ উপকৃত হবে। প্রতিদিন উপকৃত হবে। প্রতি বছর উপকৃত হবে। স্বাভাবিকভাবে রাজনীতিবিদরা পাগল হয়ে যান কাজ করতে করতে। কথা শোনেন কম। সেই জায়গা থেকেই তো ডেকে আনা বিপদ।”

আরও পড়ুন: পুজোর অনুদান ৭০ থেকে বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা! সামনের বছর ১ লক্ষ… বিরাট ঘোষণা মমতার

সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ার পরেও মানিকতলার বাসিন্দারা যাতে পরিষেবা ঠিকঠাক পান সেই দিকে তাঁদের পরিবার সতর্ক ছিল বলে  জানিয়েছেন সুপ্তি।

তিনি বলেন, “মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন না। মানুষের জন্য আমি, শ্রেয়া, আমরা কাজ করে গিয়েছি প্রচণ্ডভাবে। আমার অফিস চলেছে৷ তাতে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যেকটা প্রকল্প যাতে মানুষের কাছে পৌঁছয় দেখেছি। মানুষ আমাদের ছাড়েনি, আমরাও এদের হাত ছাড়িনি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ভালবাসা দিয়ে বেঁধে রেখেছেন সেটা আমি ভীষণভাবে ফিল করেছি। দাদার আশীর্বাদ তো ছিল। ছিল মানে বিরাট ভাবেই ছিল। প্রত্যেকটা কর্মী নিজেকে একদম উজাড় করে দিয়েছেন। এবার যেটা দেখলাম, ভেতর থেকে কাজ করার প্রবণতা। কাউকে ধাক্কা দিয়ে কাজ করাতে হয়নি। মানে ওরা যেন লড়াইটা নিজেদের লড়াই বলে মনে করেছে।”