কলকাতা: গাছ দেবে বনদফতর, বেড়া লাগাবে কে? এই প্রশ্নে কার্যত উত্তাল বিধানসভা। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক মধুসূদন বাগ বন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে প্রশ্ন করেন, প্রতিবছরই গাছ লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয় বনদফরের তরফে। কিন্তু সেই গাছ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় হতে পারে না। বেড়া না থাকার জন্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বনদফতরের উদ্যোগ সফল হতে পারে না। তাই বেড়া লাগানোর জন্য দফতরের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কী না তাও জানতে চাওয়া হয়। এরপরে বিজেপির প্রবীণ বিধায়ক অশোক লাহিড়ী মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে আমি দেখেছি গাছ বড় করার জন্য এলাকারই কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কিছু অর্থের বিনিময়ে। এখানেও যদি সেরকম কাউকে সেই কাজের ভাড় দেওয়া হয় এবং গাছ বড় হওয়ার পরে তাঁকে সেই টাকা দেওয়া হয়, তা হলে গরু-ছাগলের থেকে গাছ বাঁচানোও সম্ভব হবে।” উত্তরে মন্ত্রী গাছ বাঁচানোর জন্য বিধায়কদের উদ্যোগ নেওয়ার উপর জোর দিতে বলেন।
‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’। প্রশাসনের তরফে প্রায় প্রতিবছরই এমন প্রচার করা হয়ে থাকে। বনদফতরের পক্ষ থেকে বিলি করা হয় গাছও। কিন্তু সেই গাছকেই শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। তার কারণ নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যেমন কিছু গাছ নষ্ট হয় তেমনই গবাদি পশু-ও খেয়ে নেয় গাছ। সেই গাছ কী ভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়েই বিধানসভায় চাপানউতোর।