মমতার স্বপ্নপূরণে তালিকায় কারা?

Tree Plantation: গাছের চারা নিলেন মাত্র ৫৭ জন বিধায়ক! মমতার স্বপ্নপূরণে তালিকায় কারা কারা?

কলকাতা: পরিবেশ নিয়ে নানা চর্চা বিশ্বজুড়ে৷ দূষণ রোধে তাই আরও বেশি করে বনসৃজন ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে একাধিক সংস্থা৷ প্রতিবছর ঘটা করে পালন করা হয় অরণ্য সপ্তাহ৷ আবার রাজ্যে বন মহোৎসব হয়৷ সেখানে গাছের চারাও দেওয়া হয়৷ কিন্তু যাদের সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে আরও বেশি করে গাছের চারা নেওয়া ও গাছ বসানো দরকার তাদের মধ্যে গাছ নিয়ে আগ্রহ নেই বললেই চলে।

অন্তত বিধায়কদের দেখা যাচ্ছে ৬০ জনের কম জনপ্রতিনিধি এই গাছের চারা সংগ্রহ করছেন৷ রাজ্যে ২৯৪ জন বিধায়কের অর্ধেক জন গাছের চারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি৷ এমনটাই উঠে এসেছে রাজ্য বন দফতরের রিপোর্টে৷ আর বিধানসভায় মাত্র ১৪ জন এই গাছের চারা নিয়েছেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১১ জন বিধায়ক গাছ নিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৫ জন বিধায়কের মধ্যে  ১৩ জন বিধায়ক গাছ নিয়েছেন। ঝাড়্গ্রাম জেলার চার জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র এক জন বিধায়ক গাছ নিয়েছেন৷ সেটা আবার বনমন্ত্রী নিজেই।দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মাত্র তিনজন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মাত্র আটজন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ১০ জন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার একজন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন। বীরভূম জেলার তিন জন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন। হাওড়া জেলার তিন জন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন। পুরুলিয়া জেলার চার জন বিধায়ক গাছের চারা নিয়েছেন। এই গাছ নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যাওয়ায় অবশ্য বিধায়করা স্ব স্ব এলাকায় বনসৃজনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। সদ্য বরানগর থেকে জিতে আসা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পুরষ্কার অবধি ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা আশাবাদী যে গাছ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের আগ্রহ বাড়বে। তবে একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন শুধু গাছ নিলাম আর ছবি তুললাম হবে না। গাছের পরিচর্যা যথাযথ করতে হবে।