Gold: এ যেন মরণফাঁদ! ৮ কেজি সোনার গয়নার বদলে হাতে কী পেলেন এটা! রাতারাতি খোয়ালেন সর্বস্ব…

কলকাতা: মাস খানেক আগে কলকাতার এক সোনা প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ কলে ফোন করে সোনার গয়না তৈরীর বরাত দেয় এক ব্যক্তি।সেই প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়ে আট কেজি সোনা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ওই প্রস্তুতকারক সংস্থা।ঘটনার তদন্তে নেমেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ।

মাস দেড়েক আগে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিটের অমল রায় নামে এক সোনা প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এসেছিল।ফোনের ওপার থেকে মিঠু নামে এক ব্যক্তি অমল বাবুকে সোনার গয়না তৈরি করার বরাত দেয়।মিঠুর দেওয়া বরাত মতে, অমলবাবু সোনার গয়না তৈরি করে সরবরাহ করবার সময়, মিঠু সমপরিমাণ নিরেট সোনা দিয়ে দেবে অমল বাবুকে জানিয়েছিল।সেটাই মৌখিক চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

সেইমতো, প্রথমে ২৫০ গ্রাম সোনা দিয়েই শুরু হয় কাজ। তারপর ৫০০ গ্রাম সোনা, পরে ১.৫ কেজি সোনা ,তারপরে আড়াই কেজি সোনার কাজ হয়।প্রতিবারই অমল বাবুকে ওই মিঠু সম-পরিমানে নিরেট সোনা দিয়ে দিয়েছিল।   প্রতিবারই সোনা ও সোনার গয়না দেওয়া-নেওয়া হয়েছে মিন্টু পার্ক এলাকার’হোটেল নিহারিকা’য়।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

১০ জুলাই ওই মিন্টু অমল বাবুকে খুব জরুরী হিসাবে ৮ কেজি সোনার গয়নার বরাত দেয়।এবারও সেই হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে। সেই হিসাবে ১৭ জুলাই বিকেল ৫:৩০ নাগাদ অমলবাবু ৮ কেজি পরিমাণের সোনার গয়না নিয়ে মিন্টু পার্কের’হোটেল নিহারিকা’য় চলে যায়। কথামতো ,কাগজে মোড়া ৮ কেজি পরিমাণে সোনা সরবরাহ করে মিঠু।সেই সোনা অমল বাবুর প্রতিনিধি কারখানায় গিয়ে পরীক্ষা করার পর দেখে, সেটি সোনা নয় অন্য কোনও ধাতু। ততক্ষণে মিঠু সমস্ত কিছু নিয়ে পগারপার।মাথায় হাত পড়ে অমলবাবুর। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অবশেষে,২৬শে জুলাই সন্ধ্যায় শেক্সপিয়ার সরণি থানার দারস্থ হন তিনি।

অভিযোগ পেয়ে শেক্সপিয়ার সরণি থানা তদন্তে নেমে, ওই হোটেলের এবং সামনে একটি বারের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে।তবে পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে কলকাতায় এক বড় সোনার ব্যবসায়ীকে সন্দেহ করছে।কারণ ৫০০ গ্রাম, ১.৫ কেজি পরিমাণে সোনা আগে যা অমল বাবুকে দিয়েছে মিঠু। সেই সোনা সাধারণ প্রতারকের দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে ধারণা।