বিশেষ আলাপচারিতায় বিক্রম ভাট

Bollywood: ‘সেটে নায়িকাদের মধ্যে চলত লড়াই, তা সামলাতে গিয়েই চুল পেকে গেল…’ বিশেষ আলাপচারিতায় বিক্রম ভাট

বলিউডে ‘জানম’ ছবি দিয়েই পরিচালনায় হাতেখড়ি হয়েছে বিক্রম ভাটের। এর আগে অবশ্য ‘অগ্নিপথ’, ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’ এবং ‘জুনুন’ ছবিতে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ফলে মহেশ ভাট এবং শেখর কাপুরের সঙ্গে খুব কাছ থেকে কাজ করেছেন বিক্রম।

রাজ-এর মাধ্যমে হরেক্স ফ্র্যাঞ্চাইজির ট্রেন্ড শুরু করার পরে একাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন ওই পরিচালক। ‘আওয়ারা পাগল দিওয়ানা’, ‘দিওয়ানে হুয়ে পাগল’, ‘অনকহি’ এবং ‘রাজ ৩ডি’-র মতো ছবি বানিয়েছেন দুর্ধর্ষ কলাকুশলীদের নিয়ে। তবে মাল্টি-স্টারার ছবির ক্ষেত্রে সেটে অভিনেতাদের মধ্যে একটা নিরাপত্তাহীনতার বোধ কাজ করে। সেই ঘটনাই তুলে ধরলেন বিক্রম।

আরও পড়ুন:  হাড় থেকে কিডনি, হাজার সমস‍্যার সমাধান, তবুও বারণ! কাদের খাওয়া উচিত নয় ভুট্টা? জেনে নিন

news18 Showsha-র সঙ্গে এক বিশেষ আলাপচারিতায় স্বনামধন্য পরিচালক জানান যে, তাঁর সেটে থাকা মানুষদের মধ্যে অহংবোধ প্রায় উপচে পড়ত। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের মধ্যে একটা দ্বন্দ চলত। বিক্রম জানালেন যে, “আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন যে, অহংবোধের বিষয়ে আমি কী জানি? আমি পরিচালক হওয়ার আগে বিগত ১০ বছর ধরে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছি।”

সমান্তরাল ভাবে প্রধান চরিত্রে থাকা দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন বিক্রম। তিনি বলেন, “সেই সময় কোনও মেক-আপ ভ্যান ছিল না। দুজন অভিনেত্রী নিয়ে বহু ছবিতে কাজ করেছি। এমনকী নিজেরা কী পরবেন, তা নিয়ে বিশেষ চিন্তা ছিল না তাঁদের। বরং আর এক অভিনেত্রী কী পরছেন, সেটা নিয়েই ছিল তাঁদের মাথাব্যথা! তাঁরা বলতেন, আচ্ছা এটা আমার আউটফিট? ও কী পরছে? ওর হেয়ারস্টাইল কীরকম হচ্ছে?”
বিক্রম এই ধরনের উদাহরণ গুলি তুলে ধরে জানান যে, এর জেরে এক জনের সঙ্গে অপরের ঝামেলা লেগে যেত। যার ফলে দৃশ্যের ধারাবাহিকতা নষ্ট হত। তাঁর কথায়, “আমি এমন অভিনেতাদের জানি, যাঁরা চাতুর্যের সঙ্গে লিপস্টি এবং আইশ্যাডোর রঙ বদলে ফেলতেন। আমরা সব কিছু লক্ষ্য করেছি, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিষয়টা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ কিছু সময়ের পরে আমরা পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবে বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের অভিনেতাদের আশ্বস্ত করতে হবে। আর যদি তাঁরা কাজ করে আরাম না পান, তাহলে তাঁরা অভিনয় করতে পারবেন না।”

তিনি আরও জানান যে, “আমাদের খুবই চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। কারণ কাজটা শেষ করাতে হয়। আমি তো কন্টিনিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলাম। যার কারণে আজ আমার চুল পেকে গিয়েছে। আমি যদি চুল রঙ করাই, তাহলে তা ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে।”

বিক্রম ভাট ‘ব্লাডি ইশক’ ছবিতে অভিকা গরের সঙ্গে কাজ করেছেন। বালিকা বধূ অভিনেত্রীর প্রশংসা করে পরিচালক বলেন যে, “যখন ও কাজ করে, তখন ওর মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংবোধ থাকে না। সেটাই আমার খুব ভাল লাগে। ‘১৯২০’ ছবির দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ অংশে তো তাঁকে রক্তমাখা জামাকাপড় পরতে হয়েছিল।”