বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিরোধী দলনেতার

Suvendu Adhikari: ফের পুলিশি ‘বাধা’-র মুখে শুভেন্দু, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিরোধী দলনেতার

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: কুড়ি জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ফের পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীকে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতর সংলগ্ন এলাকা।

বিরোধী দলনেতার‌ কার্যালয় থেকে গত সপ্তাহে শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য বিধায়করা বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের সোমবার বিকেলে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সময় দেওয়া হয় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে। বার্তা আসার পরেই এদিন বিকেলে বিধানসভা থেকে রওনা হয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু-সহ অন্যান্য বিধায়করা।

আরও পড়ুন– প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের সাক্ষাৎ, কথোপকথন প্রকাশ্যে আনলেন সৌমিত্র খাঁ

শুভেন্দুর কনভয় দফতরে পৌঁছতেই কলকাতা পুলিশের তরফে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীদের যাত্রা পথ আটকায় পুলিশ বলে অভিযোগ। ‌এই ঘটনার রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী নিজের গাড়িতে বসে থাকলেও অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা কেন যাত্রাপথ আটকানো হয়েছে সেই ব্যাপারে পুলিশকে প্রশ্ন করলে পুলিশ এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের দেখা যায় পুলিশি ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে ডেপুটি হাইকমিশনারের দফতরের দিকে ‌এগোতেই বাধাপ্রাপ্ত হন বিধায়করা।

আরও পড়ুন– মাটি খুঁড়তেই ঘণ্টার মতো আওয়াজ ! ওরছায় মিলল ৫০০ বছরের পুরনো মন্দিরের মতো কাঠামো

কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দুব্যবহারেরও অভিযোগ তোলা হয়। শেষমেষ ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিস থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা যেখানে বাধাপ্রাপ্ত হন শুভেন্দু ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা সেখানে এসে দফতরে নিয়ে যান বিরোধী দলনেতা-সহ সকলকে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের তরফে তাঁর দফতরের আসার অনুমতি পত্র থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অন্যায়ভাবে রাস্তার উপর ব্যারিকেড দিয়ে বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।

পুলিশের এই অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগকে হাতিয়ার করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও ইঙ্গিত দেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে ঘটে চলা বাংলাদেশের ঢাকা-সহ অন্যান্য শহরে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ভারত বিরোধী স্লোগান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে অপমান জনক স্লোগান, ভারতীয় পণ্য বর্জন করার স্লোগান-সহ যেভাবে হিন্দুদের সঞ্জীবনী মন্ত্র ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ কে নিয়ে কদর্য স্লোগান দেওয়া হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাতে আজ কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক দের প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। আমরা বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে জানিয়েছি যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ আমাদের মাতৃসম, কোনও পরিস্থিতিতেই ভারত মাতার অপমান আমরা মেনে নেব না। ভারত বিরোধী স্লোগান, হিন্দুদের সঞ্জীবনী মন্ত্র ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করার স্লোগান-সহ অন্যান্য ভিডিওর সিডি আমরা বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে প্রমাণ হিসেবে দিয়েছি এবং আমরা দাবি করেছি যে অবিলম্বে আপনারা এই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।’’