কলকাতা: পরিবর্তিত জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষই কোনও না কোনও রোগে ভুগছেন। এমনই একটি রোগ রয়েছে যাকে আমরা স্পন্ডিলাইটিস বলি। জরায়ুর সমস্যায় ভুগতে থাকা, দীর্ঘ সময় ধরে ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করার পাশাপাশি নিচু হয়ে কাজ করার কারণে এটি হয়। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা শুরু না হলে মাথা ঘোরা ও বমির লক্ষণ দেখা দিতে থাকে এবং সমস্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এছাড়া রোগীরা ঘাড়ও ঠিকমতো বাঁকাতে পারেন না। তাই কেউ যদি জরায়ুর ব্যথায় অস্থির হয়ে থাকেন এবং ক্রমাগত হাসপাতালে যান, তাহলে ঘরে বসেও সার্ভিকাল ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যোগাসনের মধ্যে।
যোগব্যায়াম দ্বারা অনেক রোগ নিরাময় হয় এবং জরায়ুর ব্যথা নিরাময়ের জন্য কেউ যদি নিয়মিত যোগ অনুশীলন করেন তবে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আলমোড়ায় অবস্থিত যোগনিলয়ম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যোগ প্রশিক্ষক অমিতেশ সিং জানান , আজকাল মানুষের মধ্যে সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস বেশি দেখা যায়। ক্রমাগত বেঁকে কাজ করা, ফোন ব্যবহার করা, দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা এবং আরও নানা কারণে এটি বৃদ্ধি পায়। যোগব্যায়াম দ্বারা স্পন্ডিলাইটিস নিরাময় করা যায় এবং যদি কারও এই রোগ থাকে তবে এর জন্য কিছু যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে প্রথম জিনিসটি সার্ভিকাল মুভমেন্ট, এতে ব্যক্তিকে সোজা হয়ে বসতে হবে এবং ডান দিকে ঘাড় ঘোরাতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে বাম দিকে। এই অবস্থানে থাকার পরে, ব্যক্তিকে ডান কানটি কাঁধের দিকে কাত করতে হবে এবং একই ভাবে কাঁধ দিয়ে বাম কান স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। এর পরে সার্ভিকাল সার্কেলও করা যেতে পারে। এর জন্য ঘাড় পিছন থেকে ডানে বামে ঘোরাতে হবে। এটি ১০ বার করতে পারেন।
দ্বিতীয়টি হল কাঁধ সঞ্চালন, এতে ব্যক্তিকে উভয় হাত ব্যক্তিকে কাঁধের দিকে নিয়ে যেতে হবে এবং উভয় কনুই যুক্ত করতে হবে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার দিকে অবিরাম ঘোরাতে হবে।
অমিতেশ জানান, তৃতীয় আসনটি হল হল উত্থানমণ্ডুকাসন, এর জন্য প্রথমে ব্যক্তিকে বজ্রাসন করতে হবে। এতে পায়ের উভয় আঙ্গুলই মাটিতে থাকবে, তারপর ধীরে ধীরে হাঁটু খুলতে হবে। এরপর ডান হাত বাম কাঁধ স্পর্শ করবে এবং বাম হাত ডান কাঁধ স্পর্শ করবে।
চতুর্থটি হল ভুজঙ্গাসন, এতে ব্যক্তিকে পেটের উপর শুয়ে থাকতে হবে। এর পর হাতের তালুতে জোর দিয়ে নাভি পর্যন্ত উঠতে হবে।
পঞ্চমটি হল মকরাসন, এটিও পেটে ভর দিয়ে করতে হবে। এর জন্য নাভি পর্যন্ত উভয় কনুই মাটিতে রাখতে হবে এবং হাতের তালু চিবুকের উপর রাখতে হবে।