Bihar Shooting: “বড় হয়ে পুলিশ হব”- কেন এমন বলল? বিহারে গুলি চালনায় আটক বালক, কারণ জানলে চমকে যাবেন!

বিহার: বিহারে স্কুলে বন্দুক থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে। ত্রিভেনিগঞ্জে বিহারের সেন্ট বোর্ডিং স্কুলে বুধবার একটি পাঁচ বছরের নার্সারি পড়ুয়া ভুল করে বন্দুক থেকে স্কুল চত্বরেই গুলি চালিয়ে ফেলে। এরপরেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বালককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটিও।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার নিজের ব্যাগে ভরে ওই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রটি সঙ্গে করে আনে ওই বালক। এরপরেই তা নাড়াচাড়া করার সময়েই হঠাৎ গুলি চলে যায়। তা গিয়ে লাগে তৃতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়ার গায়ে। সেই পড়ুয়া জখম হলেও মারাত্মক আঘাত লাগেনি বলে জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আপাতত সেই পড়ুয়া স্থিতিশীল আছে বলেই জানান ওই স্কুলের অধ্যক্ষ।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে অচল দিল্লি, ডুবল বাড়ি, বন্ধ স্কুল, জল-যন্ত্রণার ভিডিও ভাইরাল
অন্যদিকে, ওই বালককে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের অভিমত ঘটনার অভিঘাত সম্পর্কে একদমই ওয়াকিবহাল নয় ওই খুদে পড়ুয়া। তাই এটা নিছকই দুর্ঘটনার বসে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ।
এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নামে স্কুল কর্তৃপক্ষও। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে ডেকে পাঠানো হয় বালকের বাবাকে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বালকের বাবা মুকেশ যাদব বেপাত্তা হয়ে যান। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁর মোটরসাইকেল এবং আরও একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
ঘটনা ঘটার পর থেকে হেফাজতে থাকা বালকের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যেহেতু সে নিতান্তই শিশু তাই ঘটনার গুরুত্ব তা সে বুঝে উঠতে পারছে না। সে চেয়ারে বসে পা দুলিয়ে বেশ খোশ মেজাজে আছে বলেই জানান পুলিশ আধিকারিকরা। এই বালককে এরপর জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওই বালকটির সঙ্গে কথোপকথনের মাঝে এক পুলিশ আধিকারিক জিজ্ঞেস করেন সে বড় হয়ে কী হতে চায়? জবাবে ওই বালক জানায়, সে বড় হয়ে “ইনস্পেকটর” হতে চায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে বহুক্ষেত্রে খুব ছোট বয়স থেকে এই নানা ধরনের টিভি শো, কিংবা ভিডিও গেমস খুদেদের মনে প্রভাব ফেলে। হয়ত কিছু ক্ষেত্রে ওই বাচ্চাটিও ওইরকমই নায়কোচিত কিছু করতে চেয়েছিল। সিনেমা বা ভিডিও গেমে যেমন দেখায়।
কিন্তু, পুলিশ সূত্রে খবর বালকের বাবা মুকেশের পূর্বে কোনও অপরাধের ইতিহাস না থাকলেও এই ধরনের আচরণ পুলিশের মনে সন্দেহের উদ্রেক ঘটিয়েছে। পুলিশ মনে করছে তাঁর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য গ্রেফতারি এড়াতেই বারংবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মুকেশ। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের ডিরেক্টর সন্তোষ কুমার ঝা কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।