চা বাগানের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে জট অব্যাহত

Tea Garden Minimum Wages: ৫ বছরে ১৭ বৈঠক, স্থির হল না চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি! কারণ জানালেন শ্রমমন্ত্রী

কলকাতা: প্রতিদিন যে রাজ্যের বেশিরভাগ বাসিন্দার গড়ে অন্তত দু’বেলা চা খেতে হয়, সেখানেই চা শিল্প নিয়ে এমন জট। পাঁচ বছরে ১৭ বার বৈঠকের পরেও এখনও চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঠিক হল না। যার জেরে পাহাড়-ডুয়ার্স মিলিয়ে একাধিক চা বাগান ধুঁকছে। নিত্যদিন শ্রমিক অসন্তোষ, মজুরি-বোনাস না পাওয়া, বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা লেগেই রয়েছে।

শুক্রবার বিধানসভায় চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রসঙ্গে বলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘এখনও স্থির করা গেল না চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি। চা বাগানের মালিক ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকেও কাটছে না জট। ঐক্যমত না হওয়ার জন্য এই সমস্যা জারি রয়েছে।’ কবে কাটবে তবে এই সমস্যা? পুজোর মুখে কি এবারও আরও বাগান বন্ধ হবে? প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: ক্লাসে দিদিমণি হয়ে হাজির ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা, ছাত্রদের কী প্রশ্ন করলেন? ভাইরাল ভিডিও

উত্তরবঙ্গের তরাই, ডুয়ার্স-সহ দার্জিলিংয়ের তিন শতাধিক চা বাগানে ন্যূনতম মজুরি চুক্তি বলবৎ করার জন্য বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। তার দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে অবশ্যই সদর্থক পদক্ষেপ করতে হবে।

আরও পড়ুন: খালি পেটে, নাকি ভরা পেটে মিষ্টি খেলে সুগার বাড়ে? আপনি কি জানেন এই জরুরি তথ্যটি? জানুন

ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ন্যূনতম মজুরি-১৯৪৮ (মিনিমাম ওয়েজেস অ্যাক্ট-1948) নামে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী ডঃ এস মুরলিধরের অভিযোগ, ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করছে না। মামলাটি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে দায়ের করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ন্যূনতম মজুরি পাওয়া শ্রমিকদের আইনগত অধিকার। যদি কোনও শ্রমিক মনে করেন তিনি ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক আদালতে মামলা দায়েরের অধিকারী।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় তাঁর আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে একথা উল্লেখ করেছেন। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসাবে এদিন উপস্থিত ছিলেন ডঃ এস মুরলিধর-সহ পূর্বায়ন চক্রবর্তী, দীপ্তাংশু কর, এমএ কার্তিক, মৈত্রয় সুব্রহ্মণিয়ন, পলক ভগৎ ও হিল্লোল সাহা পোদ্দার। রাজ্য সরকারের পক্ষে ছিলেন জয়জিৎ চৌধুরী, হীরক বর্মন ও কুমার শান্তনু। সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশ সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা অনুরাধা তলোয়ার জানান, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের রায়ে তাঁরা আশাবাদী।

আবীর ঘোষাল