ব্যাপক ভূমিধ্বসে বিধ্বস্ত ওয়ানাড। গ্রামের পর গ্রাম চলে গিয়েছে মাটির তলায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা এবং এনডিআরএফ। ঘটনার দু’দিন পর ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

Wayanad Tragedy: বাণিজ্যিক কেন্দ্র, থার্মাল প্ল্যান্ট আর নয়! পরিবেশগত ভাবে সংবেদনশীল এলাকা হতে চলেছে ওয়ানাডের এই ১৩টি গ্রাম

কেরল: ওয়ানাডে ধস নেমে ভয়াবহ দুর্যোগের পরেই বিশেষ পদক্ষেপ কেন্দ্রের। পশ্চিমঘাটের প্রায় ৫৭ হাজার বর্গকিলোমিটার অংশ ‘পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা’ হিসাবে ঘোষণা করার জন্য একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এই অঞ্চলে ওয়ানাডের ১৩টি গ্রাম এবং কেরালা রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পশ্চিমঘাটের প্রায় ৩৬% এলাকা পরিবেশ-সংবেদনশীল হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাব এসেছে। এই অংশগুলি জরুরি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে গোটা বছর।

নাগরিকদের মত নেওয়ার জন্য ৬০ দিন দেওয়া হয়েছে। যার পরে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তিটি রাজ্য-ভিত্তিক বা একটি সম্মিলিত আদেশে প্রকাশিত হবে, খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ছয়টি রাজ্য -মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, গোয়া এবং গুজরাটের ৫৬ হাজার ৮২৬ বর্গ কিমি এলাকাকে ‘পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল’ ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে বাণিজ্যিক কার্যকলাপের উপর অনেক বিধিনিষেধ আনা হয়েছে। এর মধ্যে কেরালার ৯ হাজার ৯৪৪ বর্গ কিমি অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে ওয়ানাডের ১৩টি গ্রাম রয়েছে।

তবে, এই প্রথম নয়। এই নিয়ে ষষ্ঠ বার খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। শেষ খসড়াটি ২০২২ সালের জুলাইয়ে জারি করা হয়েছিল এবং রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে বিজ্ঞপ্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল।

ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণ এবং ‘পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা’ ট্যাগের অনুপস্থিতিকে ওয়ানাড ট্র্যাজেডির পিছনে প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ৩০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ওয়ানাডের যে গ্রামগুলিকে পরিবেশ-সংবেদনশীল অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলি হল পেরিয়া, থিরুনেলি, থন্ডারনাড, থ্রিসিলারি, কিদাঙ্গানাদ, নুলপুঝা, অচূরানাম, চুন্ডেল, কোট্টপ্পাদি, কুন্নাথিদাভাকা, পোজুথানা, থারিওদ এবং ভেল্লারিমালা।

আরও পড়ুন- গঙ্গা উপচে বানভাসি হতে পারে কলকাতা! রাত থেকে কোথায় কত বৃষ্টি হল জেনে নিন

ছয়টি রাজ্য জুড়ে পশ্চিমঘাট অঞ্চলগুলিকে পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল হিসাবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়াটি ২০১৩ সাল থেকে চলছে। ‘পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায়’ যেসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে তা হবে খনির (বর্তমান খনি পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে), নতুন থার্মাল প্ল্যান্ট, ‘রেড ক্যাটাগরির’ শিল্প এবং ভবন ও নির্মাণের সব নতুন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প।

আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে ভাসছে একাধিক জেলা! বন্যা পরিস্থিতি রুখতে সব ছুটি বাতিল, জরুরি পদক্ষেপ নবান্নর