বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের মর্যাদা টিনসেল টাউনে অনেকের থেকেই বেশি। এমন অনেক অভিনেতার অভিষেক হয়েছিল এবং যারা সুপারস্টারও হয়েছিলেন। যেখানে কেউ কেউ হিন্দি ছবি ছেড়ে দক্ষিণের ছবিতে গিয়েও বেশ নাম কুড়িয়েছেন। এছাড়া কেউ কেউ চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে অন্য কাজও শুরু করেন।নব্বইয়ের দশকের এক বিখ্যাত অভিনেতার সঙ্গেও তেমনই কিছু দেখা গিয়েছিল। এই অভিনেতা বলিউডে মাত্র তিনটি ছবি করেছিলেন এবং তারপরে তিনি পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে অমিতাভকে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন। আজ তিনি আর বলিউডের ছবিতে কাজ করতে পছন্দ করেন না, এবং বর্তমানে তাঁর আয় কোটি কোটি টাকা।চলচ্চিত্রের জন্য বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে, কিন্তু কোনও অবস্থাতেই স্বপ্ন ছাড়েননি। হিন্দি ছবিতে ৩টি ছবি করার পর, তিনি নিজেকে বলিউডের সিনেমা থেকে দূরে সরিয়ে নেন, কিন্তু তিনি দক্ষিণের চলচ্চিত্রের মেগা সুপারস্টার হয়ে ওঠেন এবং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আজ কেউ তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। বলিউডের ফ্লপ অভিনেতা ঘোষণার পর তিনি হয়ে ওঠেন দক্ষিণের সবচেয়ে দামি অভিনেতা। তিনি হলেন মেগা সুপারস্টার চিরঞ্জীবী।চিরঞ্জীবী একজন অভিনেতাই নয়, তিনি একজন নৃত্যশিল্পী এবং প্রযোজক হিসাবে ১৫০-টিরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ১০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং চারটি নন্দী পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ৫৩-তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চিরঞ্জীবীকে ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল।ভারতীয় চলচ্চিত্রে চিরঞ্জীবীর কর্মজীবন ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল, কিন্তু ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশক তিনি নিজেকে একজন বড় তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।১৯৯২ সালের একটি পুরনো ম্যাগাজিনের কভারে বলা হয়েছিল যে তার উপার্জন অমিতাভ বচ্চনের চেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে, উভয় অভিনেতাকে ‘সে রা নরসিমহা রেড্ডি’-তে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল, যা তাদের খ্যাতিমান উত্তরাধিকারকে আরও যুক্ত করেছে।১৯৮০-এর দশকে ভারতীয় সিনেমার একটি পাওয়ার হাউস হিসাবে তাঁর অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, তিনি ১৯৯০-এর দশকের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন।এমনকি তাঁর পারিশ্রমিক বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের চেয়েও বেশি। দ্য উইক ম্যাগাজিনের ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সংখ্যায় বিশেষভাবে দাবি করা হয়েছে যে অমিতাভ তার চলচ্চিত্রের জন্য ১ কোটি রুপি নিতেন, যেখানে চিরঞ্জীবী তাঁর চলচ্চিত্রের জন্য ১.২৫ কোটি রুপি নিতেন।১৯৯০-এর দশক ছিল চিরঞ্জীবীর জন্য একটি বিশেষভাবে স্বর্ণালী সময়, যেখানে বেশ কিছু বাণিজ্যিক হিট তার অবস্থানকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করেছিল। এই একই দশক ছিল যখন তিনি ভারতের জাতীয় ম্যাগাজিনের কভার পেজে আসতে শুরু করেছিলেন।ফিল্মফেয়ার, দ্য উইক এবং ইন্ডিয়া টুডে-র মতো বিনোদন ম্যাগাজিনগুলি তাকে বচ্চনের চেয়ে বড় নাম দিয়েছে। একই সময়ে, তিনি দ্য নিউ মানি মেশিনের খেতাবও পেয়েছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ৯০-এর দশকে, তিনি টানা ১৪ টি হিট ছবি করে দক্ষিণের ছবিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।
