ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সপ্তাহের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও দেবতাকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়। সোমবার যেমন ভগবান শঙ্করকে উৎসর্গ করা হয়, মঙ্গলবার পবনপুত্র হনুমানকে উৎসর্গ করা হয়।তেমনই শনিবার শনিদেবকে উৎসর্গ করে ভক্তেরা এই দিনটিতে পূজার্চনা করেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শনিদেবকে কর্মফলের দাতাও বলা হয়।লোকবিশ্বাস এই যে, শনি মহারাজের কুদৃষ্টি যদি কোনও ব্যক্তির উপর পড়ে তবে সেই ব্যক্তির কঠিন দিন শুরু হয়। সেই সঙ্গে শনিদেব যদি কোনও ব্যক্তির ওপর প্রসন্ন হন, তাহলে তার জীবনে অনেক বড় সমস্যাও খুব সহজে সমাধান হয়ে যায়।এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস অনুযায়ী, যদি শনিবার কোনও ব্যক্তি এই জিনিসগুলি দেখতে পান তার মানে হল সেই ব্যক্তির ওপর শনিদেবের আশীর্বাদ বর্ষিত হতে চলেছে। যার কারণে ব্যক্তি তার জীবনের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।শনিদেবকে খুশি করার উপায়- অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন যে, শনিবার ভগবান শনিদেবকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।এই দিনে, ভক্তেরা শনিদেবকে খুশি করার জন্য অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। এই দিনে ভক্তেরা শনি মন্দিরে গিয়ে পূজা করেন। কোনও ব্যক্তি যদি শনিবার শনি দেবতা সম্পর্কিত কিছু দেখেন তবে এর অর্থ হল শনিদেব তাঁর উপর খুশি হয়েছেন।কোনও ব্যক্তি যদি দেখেন যে শনিবার কোনও ভিক্ষুক তাঁর কাছে আসেন, তাহলে এটি শনিদেবের আশীর্বাদের লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে তাকে কখনই খালি হাতে যেতে দেওয়া উচিত নয়। তাকে যথাসামর্থ্য কিছু দান করতে হবে, এতে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ হয়।যদি কোনও ব্যক্তি শনিবার একটি কাক দেখেন তবে এটি সেই ব্যক্তির জন্য একটি শুভ লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ কাককে শনিদেবের প্রিয় বলে মনে করা হয়।এছাড়াও শনিবার একটি কালো কুকুর দেখা একটি শুভ লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ব্যক্তি ওই কুকুরকে রুটি খাওয়াতে পারেন, তবে কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।শনিবার একটি কালো গরুকে রুটি খাওয়ানোও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। শনিবার যদি কেউ খাবারের আশায় আমাদের দরজায় হাজির হয়, তবে অবশ্যই তাকে রুটি দেওয়া উচিত। এতে করে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ কাজে সফলতা পান।
