কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ করে খুন করা হয় মহিলা চিকিত্সক পড়ুয়াকে। তরুণী চিকিত্সক ছাত্রীর ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হওয়ার পরেই আলোড়ন রাজ্যজুড়ে। আর জি করের ঘটনা উস্কে দিচ্ছে ১১ বছর আগের আর এক ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি। কামদুনিতে ২০ বছরের ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। কামদুনিতে ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের পরে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। রবিবার আর জি করে পৌঁছলেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী।
কামদুনির পর ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন মৌসুমি এবং টুম্পা। এবার তাঁরা এলনে আর জি কর হাসপাতাতলে। আর জি করের মৃতা তরুণীর বাড়িতেও যাবেন মৌসুমি, টুম্পা কয়াল এবং কামদুনির মৃতা তরুণীর ভাই।
আরও পড়ুন: ক্যানসারে সদ্য মৃত স্ত্রী, একাধিক বিয়ে! নিজেকে পুলিশকর্মী পরিচয় দিত আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়
২০১৩ সালের ৭ জুন। এক বুধবারের বিকেল। বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পথেই একটি পাঁচিল ঘেরা বাড়িতে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ৯ দুষ্কৃতি। গণধর্ষণ করে তাঁকে খুন করা হয়। পাশবিক অত্যাচার করেই থেমে যায়নি দুষ্কৃতিরা। তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর দুষ্কৃতীরা তাঁর দেহ চিরে দেয় নাভি পর্যন্ত। মর্মান্তিক এই ঘটনার পরেই ৯ দুষ্কৃতির সাজার জন্য সরব হয় নির্যাতিতার পরিবার এবং তার গ্রামের প্রচুর মানুষ।
তবে এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন নির্যাতিতার দুই বান্ধবী টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমি। এই ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য তথা দেশ। আর জি করের ঘটনায় কোথাও যেন আবার ফিরে ফিরে কামদুনির স্মৃতি। মনে পড়ে যাচ্ছে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের কথা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আর জি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।