কলকাতা: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা৷ কলকাতার সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা৷ পাশাপশি রাজ্য সরকারের কাছেও নির্যাতিতার পরিবার এবং চিকিৎসকদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি৷ যদিও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির এই পোস্টের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷
প্রিয়াঙ্কার উদ্বেগকে যথার্থ বলে স্বীকার করে নিয়ে কংগ্রেস নেত্রীর উদ্দেশ্যে কুণাল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্যে সরকার৷
कोलकाता के आरजी कर मेडिकल कॉलेज में ट्रेनी डॉक्टर के साथ दुष्कर्म और हत्या की घटना दिल दहलाने वाली है।
कार्यस्थल पर महिलाओं की सुरक्षा देश में बहुत बड़ा मुद्दा है और इसके लिए ठोस प्रयास की जरूरत है।
मेरी राज्य सरकार से अपील है कि इस मामले में त्वरित और सख्त से सख्त कार्रवाई…
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) August 12, 2024
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ট্রেনি চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুষ্কর্ম এবং হত্যার ঘটনা মনকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট৷ কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা গোটা দেশেই একটি বড় ইস্যু এবং তা নিয়ে জোরাল উদ্যোগ প্রয়োজন৷’
কংগ্রেস নেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত এবং কঠোর শাস্তি হোক যাতে নির্যাতিতার পরিবার এবং চিকিৎসকরা বিচার পান৷’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের উপরই এখনও আস্থা! সন্দেহের তালিকায় কারা, মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা
এক্স হ্যান্ডেলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির এই পোস্টের জবাব দিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘আপনার উদ্বেগ যথার্থ ম্যাডাম৷ কিন্তু নিশ্চিন্ত থাকুন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন৷ এই ঘটনায় তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন৷ পুলিশ তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে৷ এমন কি মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দিতেও তৈরি৷ এই মামলার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হবে, রাজ্য সরকার অপরাধীর ফাঁসি চাইবে৷’
ঘটনাচক্রে সোমবারই আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতা পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সাত দিনের মধ্যে কিনারা না হলে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে৷