কলকাতা: সারে সারে ডায়ালিসিস পেশেন্ট। দুশ্চিন্তা নিয়ে বসে আছেন। হাসপাতাল ভাঙচুরের পর আদৌ ডায়ালিসিস হবে তো! সরকার বাগান থেকে এসেছেন রিনা দাস। সকাল থেকে প্রতীক্ষায় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। হাসপাতালের কর্মী দেখলেই জিজ্ঞেস করছেন, ‘ডায়ালিসিস হবে তো?’ তাঁর মতোই সোদপুর থেকে এসেছেন গৌরী দে । দত্ত বাগান থেকে এসেছেন প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। এরকমই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডায়ালিসিস পেশেন্টরা রয়েছেন দুশ্চিন্তা নিয়ে, প্রতীক্ষায়।
মেয়েদের রাত দখলের রাতেই আর জি কর হাসপাতালে চলল তাণ্ডব৷ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের কাছে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীদের ভিড়ের মধ্যে থাকা একদল মানুষ৷ তাঁদের কারও পরনে ছিল হাফ প্যান্ট, কারও স্যান্ডো গেঞ্জি৷ এমনকি, ভাঙচুর চলল হাসপাতালের ভিতরে থাকা আন্দোলনকারীদের মঞ্চেও৷ তছনছ হয়ে গিয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়িও।
আরও পড়ুন: রাত দখলের রাতে আরজি করে হামলা! জোর করে ভিতরে ঢুকে হাসপাতালে ভাঙচুর বহিরাগতদের
প্রথমে পরিস্থিতি সামলাতে না পারলেও ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছয় বিরাট পুলিশবাহিনী৷ নামানো হয় র্যাফ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তার আগে ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। এই হামলার ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। হাসপাতালে ঢুকে পরা ব্যক্তিদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হয় পুলিশের উর্দি৷