প্রতীকী ছবি৷

Wife tortures husband: স্ত্রীর অত্যাচারে বাড়ি ছাড়লেন যুবক! চুল,দাড়ি কামিয়েও হল না শেষ রক্ষা

কলকাতা: গত ৪ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল, বৃহস্পতিবার নয়ডার একটি মলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে৷

উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই ব্যক্তি নয়ডার ওই মল থেকে সিনেমা দেখে বেরনোর সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ৷ এর পর শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরু ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে৷ যদিও প্রথমে বেঙ্গালুরু ফিরতেই রাজি ছিলেন না ওই যুবক৷ কিন্তু কেন?

কারণ জিজ্ঞেস করতেই ওই যুবক পুলিশকর্মীদের জানান, ‘আপনারা আমাকে জেলে রাখুন, কিন্তু আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে পারব না৷ ‘ ওই যুবক জানান, তাঁর স্ত্রীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে৷ বছর তিনেক আগে তাঁদের আলাপ হয়৷ তখন ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছিন্না ছিলেন৷ প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর একটি ১২ বছরের কন্যাসন্তানও ছিল৷ তা সত্ত্বেও ওই যুবক তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হন৷ বর্তমানে তাঁদের একটি আট মাসের আরও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে৷

আরও পড়ুন: এমন কিছু পদক্ষেপ হয়েছে, মানুষের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে! প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন কুণালের

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই যুবকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাঁর উপরে জোর জুলুম শুরু করেন৷ মানসিক হেনস্থাও চলতে থাকে৷ খেতে বসলে থালা থেকে নীচে পড়লেই তাঁর উপর চিৎকার করেন স্ত্রী৷ বিয়ের পর তাঁর কোনও ব্যক্তি স্বাধীনতাও ছিল না বলে অভিযোগ ওই যুবকের৷ তাঁর দাবি, স্ত্রীর পছন্দ মতোই পোশাক পরতে হত তাঁকে৷ এমন কি, এক কাপ চা খেতেও বাইরে যেতে পারতেন না তিনি৷

শেষ পর্যন্ত ওই যুবক বাড়ি ছেলে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ যদিও তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর স্ত্রীই পুলিশে অভিযোগ জানান৷ এমন কি, পুলিশ তাঁর স্বামীকে খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে সমাজমাধ্যমে অভিযোগ জানিয়ে পোস্টও করেন ওই যুবকের স্ত্রী৷

সমাজমাধ্যমে স্ত্রীর এই পোস্ট দেখেই চুল দাড়ি কেটে ফেলেন ওই যুবক৷ যাতে তাঁকে চেনা না যায়৷ তিরুপতি, ভুবনেশ্বর হয়ে নয়ডায় পৌঁছন তিনি৷ ফোন বন্ধ রাখায় পুলিশও তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত নয়ডা থেকে তাঁকে আটক করেন পুলিশকর্মীরা৷ ওই যুবক প্রথমে ফিরতেই রাজি হচ্ছিলেন না৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীরা তাঁকে বোঝান, তাঁর স্ত্রী যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তিনি বেঙ্গালুরু না ফিরলে সেই মামলা বন্ধ করা সম্ভব হবে না৷ এর পরেই ফিরে আসতে রাজি হন ওই যুবক৷ বেঙ্গালুরু ফিরে তাঁকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ৷