লাইফস্টাইল Pet Dog HealthCare Tips: বর্ষায় পোষ্য কুকুরদের ত্বক-কান-টিক্সের সংক্রমণ-পেটখারাপ হতে পারে, কীভাবে মোকাবিলা করবেন? পড়ুন Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ও পরিবেশের আর্দ্রতার কারণে বাড়ির পোষ্য কুকুরের সংক্রমণজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। যার কারণে তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের বোকারোর চাস পেট ক্লিনিকের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. অনিল কুমার বর্ষাকালে পোষ্য কুকুরের পাঁচটি সমস্যা এবং তাদের প্রতিরোধ সংক্রান্ত তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন। Local 18-কে তিনি বলেন যে, বর্ষাকালে পোষ্য কুকুরদের আরও বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই মরশুমে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পোষ্যরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা:বর্ষায় আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে পোষ্য় কুকুরদের ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব এবং ছত্রাক সংক্রমণ বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার কারণে পোষ্যরা বিরক্ত হয়ে তাদের শরীর থেকে লোম উপড়ে ফেলে। যার কারণে ত্বক আর্দ্র থাকে। ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ এবং চর্মরোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পোষ্যর শরীরকে শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখা উচিত। তাই পোষ্যদের স্নান করানোর সময় তাদের শরীর ভাল ভাবে মুছে দিতে হবে। তবে ত্বক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে একজন পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। পেটের সমস্যা:বর্ষার মরশুমে পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরোলে তার আগে তাদের পরিষ্কার জল পান করানো উচিত। কারণ প্রায়শই বাইরের দূষিত জল পান করার কারণে পোষ্যদের ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া তাদের টাটকা খাবার দিতে হবে। কারণ বাসি ও দূষিত খাবার খেলে তাদের পেটে ব্যথা-বদহজম এবং বমি হতে পারে। মাংস দিতে হলে গরম জলে তা ভাল করে সেদ্ধ করতে হবে। কারণ এতে পরজীবী এবং ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। পোকামাকড় এবং টিক্সের সংক্রমণ:বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে মশা, টিক্স এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যার কারণে পোষ্য়দের পরজীবী সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সংক্রমণগুলি লেশম্যানিয়াসিস, এহরলিচিওসিসের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। এই পরজীবী থেকে রক্ষা করার জন্য পোষ্যদের উপর নিয়মিত ভাবে অ্যান্টি-টিক এবং অ্যান্টি-ফ্লি প্রয়োগ করা উচিত। এমনকী তাদের ঘুমের জায়গাটিকেও ভাল ভাবে শুকনো রাখা উচিত এবং তাদের জন্য সময়ে সময়ে মশারিও ব্যবহার করা উচিত। পোকামাকড় এবং টিক্সের সংক্রমণ:বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে মশা, টিক্স এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যার কারণে পোষ্য়দের পরজীবী সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সংক্রমণগুলি লেশম্যানিয়াসিস, এহরলিচিওসিসের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। এই পরজীবী থেকে রক্ষা করার জন্য পোষ্যদের উপর নিয়মিত ভাবে অ্যান্টি-টিক এবং অ্যান্টি-ফ্লি প্রয়োগ করা উচিত। এমনকী তাদের ঘুমের জায়গাটিকেও ভাল ভাবে শুকনো রাখা উচিত এবং তাদের জন্য সময়ে সময়ে মশারিও ব্যবহার করা উচিত। কানের সংক্রমণ:জার্মান শেফার্ড ও গোল্ডেন রিট্রিভারের মতো ঘন লোমওয়ালা কান ঝুলে থাকা পোষ্যরা আর্দ্রতার কারণে কানের সংক্রমণ এবং কানের ব্যথায় ভুগতে পারে। তাই বর্ষাকালে তাদের কান নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। মেজাজ এবং আচরণের পরিবর্তন:আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আবার যদি কুকুরকে বাইরে হাঁটতে না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তাদের মধ্যে অস্থিরতা ও মানসিক চাপ বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে বাড়িতে সময় কাটানো উচিত। আর এমন গেম খেলা উচিত, যাতে তাদের আচরণ ঠিক থাকে।