আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷

Sandip Ghosh: কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন সন্দীপ? আরজি কর তদন্তে জবাব খুঁজছে মরিয়া সিবিআই

কলকাতা: নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন৷ তাই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেও কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছিল৷ আরজি কর কাণ্ডে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কেন এত দেরি করেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই-এর সামনে এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন, সেই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজতে এখন মরিয়া সিবিআই-এর তদন্তকারীরা৷

গত ছ দিন ধরে সন্দীর ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই৷ আজও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ গত ৯ অগাস্ট সকালে হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুমে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ অভিযোগ ওঠে, তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতেই অনেকটা দেরি হয়৷ কেন এতটা দেরি হল, সন্দীপ ঘোষকে সেই প্রশ্নই করেন সিবিআই তদন্তকারীরা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, উপর মহলের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন প্রথমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ সবুজ সঙ্কেত আসতেই অভিযোগ জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷

আরও পড়ুন: মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি, কলকাতা পুলিশের নজরে আনলেন অভিনেত্রী নিজেই

ওই তরুণী চিকিৎসককে যে হত্যা করা হয়েছে, খালি চোখে দেখেই তা বোঝা যাচ্ছিল বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী৷ তিনি নিজে অভিজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে কেন এই বিষয়টি বুঝতে পারলেন না, সন্দীপ ঘোষকে সেই প্রশ্নও করেছেন সিবিআই কর্তারা৷

এর পাশাপাশি, সেমিনার রুমের সংলগ্ন অংশের সংস্কার কাজও কেন তড়িঘড়ি শুরু করা হয়েছিল, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে৷ এক্ষেত্রেও উপরমহলের দিকেই দায় ঠেলার চেষ্টা করেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ তিনি দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি৷

ইতিমধ্যেই সিবিআই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে৷ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সন্দীপ ঘোষের বয়ান মিলিয়ে দেখছে সিবিআই৷ পাশাপাশি পুলিশের থেকে পাওয়া এবং নিজেদের সংগ্রহ করা তথ্যপ্রমাণও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা৷