জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলা৷

Tripura flood situation: টানা বৃষ্টিতে বানভাসি ত্রিপুরা, মাটি চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন জন

আগরতলা: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত ত্রিপুরা৷ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের একাধিক এলাকায়৷ সতর্কতা জারি করা হল গোমতি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের জন্য। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ডুম্বর জ্বলাশয়ের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে খুলে দেওয়া হল জলাধারের গেট। এ দিকে ত্রিপুরার শান্তিবাজারে ধসে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে৷

শেষ বারের মতো ১৯৯৩ সালে খোলা হয়েছিল ডুম্বর জলাধারের গেট। আবার ২০২৪ সালে তা খোলা হল। প্রবল বৃষ্টিতে জলপ্লাবিত উত্তর জেলা ধর্মনগর শহর! মানুষজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে৷

আরও পড়ুন: কৃতি ছাত্রদের তালিকা থেকে মোছা হোক সন্দীপের নাম, দাবি উঠল বনগাঁর স্কুলে

সোমবার দুপুর থেকে তিনদিন ধরে ত্রিপুরা উত্তর জেলার সদর ধর্মনগরে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। এই বৃষ্টিপাতে ধর্মনগর শহরের বিভিন্ন এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিঘার পর বিঘা জমি প্লাবিত হওয়ায় জলের নীচে চলে গিয়েছে। এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত পড়ে গেছে।

এ দিকে শিববাড়ি ছড়ার পাড় এলাকা অতিরিক্ত জলপ্লাবিত হওয়ায় দশটি পরিবারের লোকজনকে শরণার্থী শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপক দফতরের কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য মহকুমা শাসক অফিসে যে নৌকা রয়েছে তা নিয়ে এসে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে ।ধর্মনগর-কৈলাশহর মূল সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গা জলের নিচে ডুবে আছে। একই অবস্থা ধর্মনগরের সিগন্যাল বস্তি এলাকায়। নোয়াপাড়া, জেল রোড- সর্বত্রই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ধর্মনগর শহরে বৃষ্টিতে শুনশান অবস্থা ধারণ করেছে। জুরি নদী এবং কাকরি নদী জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কোথাও কোথাও জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
ত্রিপুরা

এ দিকে প্রবল বর্ষণে ত্রিপুরায় পাহাড়ের মাটি ধসে পরে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের! ত্রিপুরায় গত তিনদিন ধরে প্রবল বর্ষার ফলে দক্ষিণ জেলা শান্তিরবাজার মহকুমায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে শান্তির বাজার মহকুমার দেবীপুর এডিসি ভিলেজের কচ্ছপছড়া পাড়ায় পাহাড়ের মাটি ধসে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। নিহতদের মধ্যে একটি তিন বছরের শিশুও রয়েছে৷

দেবীপুর এলাকায় রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে প্রশাসনিক লোকজনেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারছে না। তাই এলাকার লোকজনেরা একত্রিত হয়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন।