আবহাওয়ার উন্নতি হলেও জল বাড়ছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে দুর্ভোগ অব্যাহত ঘাটাল জুড়ে৷ এমনকি বাজার করার জন্যও নৌকা নিয়ে আসতে হচ্ছে মানুষকে। বাজার এলাকার রাস্তা যেন আস্ত নদী হয়ে গিয়েছে৷

Flood Devastated Tripura: ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে মাণিক সাহা, খতিয়ে দেখলেন ত্রাণের ব্যবস্থা 

ত্রিপুরা: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখলেন ত্রাণের ব্যবস্থাও, যাতে বন্যায় দুর্গত মানুষেরা সমস্ত ধরণের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান৷

 আগরতলায় ‘ধলেশ্বরের স্বামী দয়ালানন্দ বিদ্যানিকেতন’, ‘রামঠাকুর উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়’ এবং ‘বড়দোয়ালির স্বামী বিবেকানন্দ’ স্কুলের অস্থায়ী ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে৷  এই শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বানভাসি ত্রিপুরা, মাটি চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন জন

শিবির পরিদর্শন করার পর তিনি বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণ জেলায় যাওয়ার কথা থাকলেও প্রবল বর্ষণে রাস্তা খারাপ হওয়ার দরুণ তা সম্ভব হয়নি। এইজন্য রাজধানী আগরতলার আশপাশে থাকা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছি।’’

ত্রিপুরায় গত কয়েদিনে বিপুল বৃষ্টিপাত হয়েছে।  বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গোমতী জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার। আজকেও আগরতলা ও এডিনগরে ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের এ বারের বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ত্রিপুরা

মানিক সাহা বন্যায় দুর্গত মানুষের খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন। যাতে তাঁদের তা  সরজমিনে দেখে গিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের কাজের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘প্রশাসন সকলের পাশে রয়েছে। এর পাশাপাশি কাউন্সিলাররাও খুব ভাল কাজ করছেন। দলের কার্যকর্তারাও মাঠে নেমে কাজ করছেন। আমাদের দলের সভাপতিও রয়েছেন। তিনিও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন।’’

মানিক সাহা সংবাদমাধ্যমকে যে তথ্য দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সমগ্র ত্রিপুরাতে ৩২০টির মতো ত্রাণ ও আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।প্রায় ৩০ হাজারের অধিক দুর্গত মানুষ এই সকল শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা দুর্গত মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবির পরিদর্শন কালে এই দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা৷

বন্য শিবির পরিদর্শনের পাশাপাশি  আগরতলার ইন্দ্রনগরের আইটি ভবনে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারেও হাজির হন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আগরতলা শহরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ব্যবস্থাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি এই বন্যা মোকাবিলায় সকলের সাহায্য চেয়ে বলেছেন, ‘‘আসুন আমরা সকলে মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’’