ক্ষুব্ধ কুণাল ঘোষ৷

Kunal Ghosh: আরজি কর কাণ্ডে দলের নেতাদের উপরেই চটলেন কুণাল! কী অভিযোগ?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ জানিয়ে আসছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুধু পথে নেমে প্রচার নয়৷ বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার শাসক দলকে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় ততটা অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন না বলে দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন।

কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘তৃণমূলর কংগ্রেসের ডিজিটাল সৈনিকরা যত সক্রিয় ভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন, আমাদের দলের অনেককে দেখা যাচ্ছে না, বলে অভিযোগ কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, ভোট এলে প্রার্থী হওয়ার জন্য যতজনকে দেখা যায়,কমিটি গঠনের সময় দেখা যায় এই সময় পাওয়া যাচ্ছে না। টুইটকে রি-টুইট করবে সেটা মনে থাকেনা। কুম্ভ কর্ণের ভূমিকা পালন করছেন।দল কবে প্রোগ্রাম দেবে তার জন্য বসে আছেন।কমিটি গঠনের সময় মনে থাকে না? হাতে স্মার্ট ফোন কেন আছে, সেটা কি লোককে দেখানোর জন্য? কেন প্রতিবাদ করবে না? মানুষ কি ভাববেন সেটার জন্য? আমাদের ভুল পদক্ষেপে যদি কিছু মানুষ ভুল বুঝে থাকেন সবিনয়ে এই ভুল ভাঙানোর কাজ আমাদের করতে হবে।আমাদের কয়েকজন মুখের রক্ত তুলবে। আমরা বিষ পান করব আর জনপ্রতিনিধি পদে বসে থেকে কিছু বলবেন না সেটা হতে পারে না।সবাই নজর রাখুন আপনার এলাকায় যে তৃণমূল নেতা আছে কিছু পোস্ট করছে কিনা নজর রাখুন। ব্লকের সভাপতি হোক এমপি হোক, জেলা সভাপতি হোক পোস্ট করতে হবে।’

আরও পড়ুন: সাড়ে ১২ ঘণ্টার তল্লাশি…! গোয়েন্দারা বেরোতে ১ মিনিটে তালা! সন্দীপের বাড়ি থেকে কী কী পেল CBI? চমকে দেওয়া তথ্য

এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সবাইকে মাথা উঁচু করে বলতে হবে অপরাধ অন্যায় দোষীর শাস্তি হোক। যারা দোষী তারা উচ্ছন্নে যাক। মৃত্যুদণ্ড হোক। কিন্তু সেটা নিয়ে রাজনীতি হতে পারে না।

সোশ্যাল মিডিয়া সহ এক আলোচনায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন,  ‘আমাদের হাতের ফোনটা আমাদের অস্ত্র।পাল্টা যুক্তিদিন। আমরা যারা বাংলাকে সুস্থ রাখতে চাই প্রতি মা বোনেদের কাছে এই ইস্যুকে নিয়ে যেতে হলে ফোনকে কাজে লাগাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতি।এই দলের প্রতি আমারও অভিমান ছিল। আজ যখন চিল শকুনরা আক্রমণ করেছে আমাদের কাজ আপনাদের কাজ সকলের কাজ ডিফেন্ড করা দলকে।’