Indian Railways: স্ক্র‍্যাপ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় ভারতীয় রেলের

“জিরো স্ক্র্যাপ মিশন”-এর দিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অগ্রগতি। বিগত অর্থবর্ষে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করে ২০০ কোটি টাকারও বেশি আয়।বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সামগ্রী থেকে নিজেদের অধিক্ষেত্রের অধীনে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটকে  মুক্ত করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই মিশনের অধীনে বর্জ্য মুক্ত নিশ্চিত করতে স্টেশন, ডিপো, শেড, ওয়ার্কশপ ও সেকশনগুলির ধারাবাহিকভাবে নিরীক্ষণ করা হয়। ‘‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন”-এর অংশ হিসেবে বিগত অর্থবর্ষে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৩৬২৮ এমটি স্ক্র্যাপ রেল/পি-ওয়ে উপকরণ এবং ১৯১৯২ এমটি বিভিন্ন বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করে ২০২.৮৪ কোটি টাকা রাজস্ব উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ত্রাণের জন্য আর্থিক অনুদান উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন মানিক সাহার

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে জরাজীর্ণ রোলিং স্টক তথা ২৬টি ডিজেল লোকোমোটিভ, ২৪৭টি কোচ এবং ২৮৪টি ওয়াগনও বিক্রি করা হয়। ​বর্তমান অর্থবর্ষের ২০২৪-এর জুলাই পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৪১.৫৮ কোটি টাকা মূল্যের স্ক্র্যাপ রেল, পি-ওয়ে উপকরণ, অচল কোচ, ওয়াগন এবং লোকোমোটিভ বিক্রি করেছে, যা বিগত বছরের একই সময়ের ৩০.৮৮ কোটি টাকার তুলনায় ৩৪.৬৫ শতাংশ বেশি। ​‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অভিযানের ফলে শুধুমাত্র যে ভারতীয় রেলওয়ের রাজস্বই উৎপন্ন হয়েছে, তা নয়, বরং এর পাশাপাশি বর্জিতাংশ সহ অন্যান্য উপাদান জমা করার স্থানও তৈরি করেছে। এর ফলে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার পাশাপাশি স্টেশন, কর্মক্ষেত্র ও চারপাশের এলাকার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি হয়েছে।

এছাড়াও রেলওয়ে চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ অনকূল করে রাখার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হয়ে উঠেছে। 2022-’23 আর্থিক বর্ষে একইভাবে রেলের লোহার জঞ্জাল বা স্ক্র‍্যাপ বিক্রি করে আয় হয়েছিল 186 কোটি 34 লক্ষ টাকা । শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ! এই বিপুল পরিমাণ আয় আগামীতে যাত্রী পরিষেবা আরও বেশি উন্নত কর‍তে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা। মূলত, ভারতীয় রেল ‘জিরো স্ক্র‍্যাপ মিশন’-এর উদ্যোগ নিয়েছে।