ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান, যুবভারতীর গ্যালারিতে স্লোগান, ‘আমাদের বোনের বিচার চাই’

কলকাতা: ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মোহনবাগান। টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে এদিন পেত্রোতোসরা ফাইনালের টিকিট হাতে পেলেন।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস পঞ্জাব এফসি ম্যাচে সেরকম ভাল খেলেনি। ওদিকে, ডুরান্ড কাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল বেঙ্গালুরু। আর সেটা তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল ম্যাচ শুরু হতেই।

আরও পড়ুন- টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কারা পেলেন দলে জায়গা, দেখে নিন মহিলাদের টিম

সুনীল ছেত্রীরা প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যান। গত ম্যাচে দুরন্ত ফর্মে থাকা কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে এদিন আত্মবিশ্বাসে টগমগ করছিলেন সুনীলরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাঁদের সেই আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরায় মোহনবাগান। ২টি গোল শোধ করে দেন পেত্রাতোস ও অনিরুদ্ধ থাপা।

০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। সেখান থেকে ফিরে আসা। তার পর টাইব্রেকারে জয়। এদিনের নায়ক মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালেও দলকে জেতালেন তিনি।

আরও পড়়ুন- সৌরভের বায়োপিকে টলিউডের মহাতারকা! রণবীর, আয়ুষ্মান বাদ! ডোনা হবেন কে?

এদিন কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম একাদশ থেকে ছ’টি বদল করেছিলেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। জেসন কামিংস ও দিমিত্রি পেত্রাতোসকে খেলালেন শুরু থেকেই। এদিন ৬৬ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে মনবীরকে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করেন পেত্রাতোস।

এর পর বেঙ্গালুরুর কোচ ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে দেন। তবে তাতেও মোহনবাগানের আক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খায় তারা। ৮৪ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ফিরতি বলে ডান পায়ে জোরালো শটে গোল করেন থাপা।

এদিন গ্যালারিতে আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে পোস্টার নিয়ে হাজির হন সমর্থকরা। ব্যানারে লেখা ছিল- “হাতে হাত রেখে করো লড়াই হাতে হাত রেখে এ লড়াই। ‌ আমাদের বোনের বিচার চাই।” এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই আদালত জানায়, টিফো নিয়ে মাঠে যেতে পারবেন সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে গ্যালারিজুড়ে স্লোগান উঠল- উই ওয়ান্ট জাস্টিস।