ICC Chairman Jay Shah: ঘর ঘর থেকে নতুন ক্রিকেটার, টেস্ট থেকে T20-র জন্য নতুন ভাবনা জয় শাহের, ICC-র চেয়ারম্যান হওয়ার পর তুলে ধরলেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মুম্বই: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আইসিসি-এর চেয়ারম্যান হলেন জয় শাহ। ১ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করবেন তিনি। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আইসিসি-এর চেয়ারম্যান হওয়ার নজির বিশ্বক্রিকেটে নেই। সেদিক থেকে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হয়ে রেকর্ড গড়লেন জয় শাহ।

আইসিসি চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই একটি বিবৃতি জারি করেন জয় শাহ। সেখানে আইসিসিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যান হিসাবে আগামীদিনে তিনি কী কী কাজ করতে চান, তারও রূপরেখা দিয়েছেন বিবৃতিতে।

জয় শাহ বলেন, “আইসিসি চেয়ারম্যানের এই মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকায় আমার উপর আস্থা রাখার জন্য বোর্ড সদস্যদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের মান উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় পা রেখে আপনাদের প্রত্যাশা পূরন এবং ক্রিকেটের মতো সুন্দর খেলায় নিজেকে উৎসর্গ করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

আরও পড়ুনBCCI: পুরস্কারের ছড়াছড়ি, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে মহিলাদের ক্রিকেট মালামাল হয়ে যাবেন সেরা পারফরমাররা, বোর্ডের নয়া ঘোষণা

২০২৮ অলিম্পিক্সে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জয় শাহ বলেন, “২০২৮ অলিম্পিক্সে ক্রিকেট তার ঐতিহাসিক আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুত। আমরা পরিবর্তনশীল যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এই সন্ধিক্ষণ নিছক মাইলফলক নয়, এই দুর্দান্ত খেলার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করার আহ্বান। এমন উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে আইসিসি-কে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়।’’

এরপর আইসিসি চেয়ারম্যান হিসাবে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান জয় শাহ। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “নতুন প্রতিভা তুলে আনার জন্য পৃথক প্রোগ্রাম শুরু করতে চাই। এই কাজে আপনাদের সমর্থন আশা করছি।’’ পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটই যে তাঁর কাছে অগ্রাধিকার পাবে সেটাও বুঝিয়ে দেন জয় শাহ। তিনি বলেন, “টি২০ উত্তেজনাপূর্ণ ফরম্যাট। কিন্তু টেস্ট আমাদের খেলার ভিত্তি। তাই একে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’’

মহিলা ক্রিকেটকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন সদ্য নিযুক্ত আইসিসি চেয়ারম্যান। জোর দিয়েছেন প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেটের উপরেও। তাঁর কথায়, “মহিলা এবং প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের জন্য সংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের আইসিসি-এর লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’