কলকাতা, দেশ Cyclone Asna Alert: তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় আসনা…? সাইক্লোন নিয়ে চরম সতর্কতা! কোথায় কোথায় ধ্বংসলীলার আশঙ্কা? কী হবে বাংলায়? জানিয়ে দিল আইএমডি Gallery August 30, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমানে দেশের অধিকাংশ স্থানে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয়। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার থেকে দিল্লি, গুজরাত ও মহারাষ্ট্র পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু। মুষলধারে বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা গুজরাতের। গোটা রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি। বৃষ্টি-ঝড়ের তাণ্ডবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে নতুন সঙ্কটের সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি)। আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমডি। পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার কচ্ছ-পাকিস্তান উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যদিও এই সময় সাধারণের সাইক্লোন সক্রিয় হয় না। তাই ঘূর্ণিঝড়টি এই সময়ে আরব সাগরে সক্রিয় হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আইএমডির আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এবং একে একটি আবহাওয়ার বিরল ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন তাঁরা। এদিকে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে গুজরাতে। মৌসম ভবনের আবহাওয়াবিদদের মতে, আরব সাগরের কচ্ছ এবং পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, যা শুক্রবার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এখনও পর্যন্ত খবর এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়বে কচ্ছের পাশাপাশি সৌরাষ্ট্র এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গুজরাতে মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই রাজ্যে আরও বিধ্বংসী ঘটনা ঘটতে পারে বলেও প্রমাদ গুনছে রাজ্যের প্রশাসন। সম্পূর্ণরূপে তৈরি হলে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে সরে যাবে। আবহাওয়াবিদদের মতে, “আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ততটা শক্তিশালী বা ধ্বংসাত্মক নয়, তবে গুজরাতের কিছু অংশে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গুজরাত ইতিমধ্যেই বর্ষার বৃষ্টির কবলে। বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর এবার নতুন ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মানুষ। আইএমডির আবহাওয়াবিদদের কথায় বছরের এই সময় আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা কার্যত বিরল। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই মাসে ঘূর্ণিঝড় হয় না তা নয়, তবে এমন ঘটনা খুব কম এবং এটি একটি স্বাভাবিক মৌসুমী ঘটনা নয়। সাধারণত বর্ষার আগে (মার্চ, এপ্রিল, মে) বা বর্ষার পরে (অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর) বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় হয় তবে এবার অগাস্টের শেষ দিনে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা চমকে দিয়েছে তাঁদেরকেও। মৌসম ভবনের তরফে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমাগত কম গতিতে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ৩০ অগাস্ট এটি একটি পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। এটি ক্রমশ দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।