ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান বনাম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড

Durand Final: নিজেদের রেকর্ড ভেঙেই নতুন ইতিহাস তৈরির হাতছানি মোহনবাগানের, প্রথমবার ফাইনালে ওঠা নর্থ ইস্টের ভাবনায় শুধুই জয়

কলকাতা: আজ ডুরান্ড ফাইনালে নামছে মোহনবাগান। তিরিশবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নামতে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গতবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে রেকর্ড ১৭ বার ডুরান্ড জয়ের রেকর্ড গড়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। শনিবার জিতলে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে ১৮ তম ডুরান্ডে জয়ের ইতিহাস হবে। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি সবুজ মেরুন। বাগান শিবিরে সুখবর, সেমিফাইনালে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও ফাইনালে অধিনায়ক শুভাশিসের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। শুভাশিস চেনা ছন্দে অনুশীলন করেছে।

ফাইনালের আগে মোহনবাগানের নতুন কোচ মোলিনার মতে, দলের মধ্যে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার যে লড়াই ফুটবলারদের মধ্যে চলছে তাতে তিনি খুশি।‌ সবুজ মেরুন কোচ বলেন, “সব ফুটবলারই প্রথম একাদশে জায়গা পেতে চায়। সবাই সেই লক্ষ্যেই অনুশীলনে,ম্যাচে নিঙড়ে দেয়। দলের স্বার্থ সবার আগে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে মনবীর এবং কামিন্স গোল পেয়েছেন। তাই দল যেভাবে যাঁকে ব্যবহার করতে চাইবে প্রয়োজন অনুসারে সেটাই হবে।”

আরও পড়ুন – Yellow Alert For Heavy Rain: ওড়িশা উপকূলে গাঁঠ হয়ে বসে আছে নিম্নচাপ, আরও ৪৮ ঘণ্টা থাকবে বঙ্গোপসাগরে, বেদম বাড়বে শক্তি, সমুদ্র হবে উত্তাল

অন্যদিকে ডুুরান্ড ফাইনালে প্রথমবার উঠেছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। সেই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোলিনা জানান,‌ “নর্থইস্ট খুব ভাল দল। ওদের উইং প্লে খুব ভাল, কিন্তু আমরাও তৈরি। যেকোনও চ্যালেঞ্জ সামলানোর ক্ষমতা আমাদের ফুটবলারদের রয়েছে।” প্রতিপক্ষকে সমীহ করার পাশাপাশি ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলাকে অ্যাডভান্টেজ হিসেবে দেখছেন না মোহনবাগান কোচ। চেনা পরিবেশে সমর্থকদের বিপুল সমর্থনকে বাড়তি সুবিধা হিসেবে দেখছেন না মোলিনা।

ফাইনালে প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড যে মরিয়া লড়াই ছুঁড়ে দেবে তা আন্দাজ করতে পারছে মোহনবাগান। সেভাবে প্রস্তুতি সারছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালের পরে সেমিফাইনালেও গোলরক্ষক বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত হাত দলের জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। গোলরক্ষকের প্রশংসা করলেও কোনও ব্যক্তি বিশেষকে কৃতিত্ব দেওয়ার চেয়ে দলগত সংহতির কথা মোলিনার মুখে।

তিনি বলছেন, “আমার কাছে বিশালই সেরা গোলরক্ষক কিন্তু আমি জাতীয় দলের কোচ নই। তাই মানালো যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত । আমি তাঁকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি । তবে কোনও একজনের জন্যই জয় এসেছে তা মনে করার কারন নেই। এগারো জনই দলের জয় পরাজয়ের জন্য সমানভাবে দায়ী থাকে।”

ইতিমধ্যেই মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেছেন বাংলার স্বার্থে সকলের মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে সমর্থন জরুরি। ফাইনালের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে বলে খবর। প্রস্তুতির মধ্যে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাজটা কঠিন বলে মনে করেন বাগান কোচ। তবে পরিস্থিতি কঠিন হলেও লক্ষ্য পূরনে নজর ঘোরাতে নারাজ মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের কোচ ফুটবলাররা।

Eeron Roy Burman