অধীররঞ্জন চৌধুরী৷

ঝান্ডা ছেড়ে আরজি কর আন্দোলন, কংগ্রেস কর্মীদের পরামর্শ অধীরের

আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চলছে। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায় সাধারণ মানুষের রাস্তায় নামাটাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। গ্রামের আলপথ থেকে কলকাতার রাজপথ সব জায়গাতেই মহিলাদের  উপস্থিতি ছিল চোখ পড়ার মতো। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।

এ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তায় নামছেন “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” স্লোগান মুখে নিয়ে। রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি রাস্তায় নামলেও সাধারণ মানুষের আন্দোলনটাই মানুষের মনে দাগ কেটেছে। এই আন্দোলনকেই আরও গতি দিতে কর্মীদের ঝান্ডা ছেড়ে আন্দোলনের নির্দেশ দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী৷

বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস। শ্যামবাজারে মিছিল শেষে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “কোনও রাজনৈতিক ধান্দবাজি করতে এখানে আসিনি। এখন কোনও ভোট নেই। এই আন্দোলন সাধারণ মানুষ করছেন। যেখানে কোনও ধান্দা নেই। আমিও আমার কংগ্রেস কর্মীদের বলব, এলাকায় গিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিন। ঝান্ডা না নিয়ে আন্দোলন করুন৷

পাশাপাশি কামদুনি, হাঁসখালি থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেঁসে গিয়েছেন । নির্যাতিতার বাবা-মাকে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিনতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কিনতে পারেননি । আজ যে মিটিং হচ্ছে এটা কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল নয় । সমাজের বিভিন্ন অংশের সাধারণ মানুষ তারা সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটি বারের জন্য ক্ষমা চাইলেন না । উপরন্তু ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে কিনতে চেয়েছেন। বাংলার মানুষ বিক্রি হবে না । আজ আমরা পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি, আগামীতে সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক পতাকা ছেড়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিচারের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হতে চাই । আরজি করের প্রমাণ লুট করেছেন আপনি । রিওয়াজনুর কাণ্ডে আপনি সিবিআই চেয়েছিলেন । কিন্তু আপনি ক্ষমতায় এসেও বিচার করতে পারেননি।”