কলকাতা: আরজি কর ইস্যুতে এবার সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ নিয়ে সোচ্চার হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী সপ্তাহে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “লড়াইটা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে। পুরুষের বিরুদ্ধে নয়। এই দেশে বাংলায় একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই দাবি।”
অন্যদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কটাক্ষ করা নিয়েও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। পছন্দ না হলে নেবেন না। বলার কী আছে। অর্থ, শিল্পের মতো দফতর মহিলাদের হাতে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও তার বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু!”
একইসঙ্গে আরজি কর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্য এই এই নক্কারজনক ঘটনার বিচার চায়। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী শিবির তদন্তের গতপথ বদলে দিতে চাইছে। রাজনীতির খেলা চলছে মণিপুর, হাতরাস, বিলকিস বানু, বদলাপুরের বেলায় ট্যুইট হয়নি। অথচ এখন ট্যুইট করছে। লালেরা শূন্য। তাও তন্ত্র। লাল চোখ দেখাচ্ছে।
সেইসঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূলের কাছে কী কী দাবি তাও বলে দেন মন্ত্রী। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআই এর কাছে আমাদের প্রধান দাবি তাড়াতাড়ি করুন। কলকাতা পুলিশ যাকে ধরেছে তাকে ছেড়ে দেয়নি। আবার অন্য কিছু করছে। ১৩ তারিখ সিবিআইয়ের কাছে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে নিয়েছে মামলাটি। নাম না করে চন্দ্রিমার দাবি, যদি কেউ বলে তোমার দলের ছেলে। মুখ্যমন্ত্রী বলতেন ফাঁসি হোক। প্রমান লোপাট করবেন এটা হয় না। যদি বলেন প্রমান লোপাট হচ্ছে সিবিআইকে বলুক।
আগামিকাল, সোমবার স্পেশাল সেশনেই বিল আসবে বলেও ইঙ্গিত দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “স্পেশাল সেশন ডাকা হয়েছে। বিল আসবে। সভাপতি বলছেন বিল সমর্থন করবেন কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে থাকবে। আমার মনে হয় রাষ্ট্রপতি একজন মহিলা। তিনিও সোচ্চার হবেন ও সই করবেন।