চলতি বছরের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ছিল ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’। ছবিটির বাজেট ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফ, পৃথ্বীরাজ সুকুমারন এবং সোনাক্ষী সিনহা। তবে একাধিক তারকা নিয়ে তৈরি এই ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল।আর ছবি ফ্লপ হওয়ার কারণে অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রফ – এই দুই অভিনেতার কেরিয়ারেও তার যথেষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। এটা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যদিও এখনও অবশ্য কাজ পাচ্ছেন অক্ষয়। কিন্তু টাইগারের কেরিয়ারের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। কারণ তাঁর হাতে থাকা কাজগুলিও এখন আর নেই। এমনকী, নিজের পারিশ্রমিকও কমিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা।আসলে ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ছবি থেকে বেশ ভালই প্রত্যাশা ছিল টাইগার শ্রফের। কিন্তু ছবিটি ফ্লপ হওয়ামাত্রই অভিনেতার মূল্য ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কমে গিয়েছে। এক-একটি ছবির জন্য ৯ কোটি টাকা করে পারিশ্রমিক নিতেন টাইগার। কিন্তু বড় বাজেটের ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ফ্লপ হওয়ার পরে নিজের পারিশ্রমিক ৩ কোটি টাকা নামিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা।এদিকে প্রাক্তন প্রেমিকা দিশা পাটানির সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘হিরো নম্বর ১’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল টাইগার শ্রফের। সেই ছবির শ্যুটিংও শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপাতত ওই ছবি বাতিল করেছেন নির্মাতারা। অর্থাৎ এখন আর তৈরি হচ্ছে না ছবিটি। এখানেই শেষ নয়, হিরো নম্বর ১-এর জন্য ৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন টাইগার। কিন্তু পারিশ্রমিক কমিয়েও কোনও লাভ হয়নি। নির্মাতারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ফলে টাইগারের সঙ্গে ছবি করতে রাজি হননি তাঁরা। আপাতত হাতে কোনও কাজ নেই জ্যাকি-পুত্রের।প্রসঙ্গত, পর পর তিনটি ফ্লপ ফিল্ম দিয়েছেন টাইগার শ্রফ। ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’-র আগে তাঁর মেগা বাজেট ছবি ‘গণপত’-ও বক্স অফিসে তেমন দাগ কাটতে পারেনি। শুধু তা-ই নয়, তাঁর ‘হিরোপন্তি ২’ ছবিটিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আর একের পর এক ফ্লপের জেরে যেন থমকে গিয়েছে টাইগারের কেরিয়ার।যদিও রোহিত শেঠির ‘সিংহম এগেইন’ ছবিতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে টাইগার শ্রফকে। অবশ্য ওই ছবির শ্যুটিং বহু আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে আটকে রয়েছে ছবিটির মুক্তি। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, ছবিটি মুক্তি পাবে অগাস্টে। কিন্তু এখন তা দিওয়ালিতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
