এভাবেই শিরদাঁড়া রেখে নগরপালের সঙ্গে বৈঠকে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

Vineet Goyal on resignation নগরপালকে চিকিৎসকদের প্রশ্ন,আরজি কর কাণ্ডের নৈতিক দায় নেবেন? জবাব দিলেন বিনীত

কলকাতা: যাঁর পদত্যাগ দাবি, তাঁর কাছেই সেই দাবিতে স্মারকলিপি তুলে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ কলকাতা পুলিশের কোনও নগরপালের অতীতে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে কি না, তা বলা কঠিন৷ কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের থেকে নিজের পদত্যাগের দাবিতে লেখা স্মারকলিপি গ্রহণ করে অবশ্য বিনীত গোয়েল জানিয়ে দিলেন, আরজি কর কাণ্ডে তাঁর নিজের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট৷

একই সঙ্গে অবশ্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তাঁর ভূমিকা সন্তোষজনক নয়, তাহলে তিনি সরে যেতে রাজি৷

আরও পড়ুন: রাস্তা খালি করেই রাস্তা সাফ! ২২ ঘণ্টার অবস্থানের পর অন্য রূপে চিকিৎসকরা

নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতেই সোমবার বিকেলের পর থেকে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ শেষ পর্যন্ত এ দিন বিকেলে পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে বেনটিক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে জুনিয়র চিকিৎসকরা রাস্তা খালি করে দেন৷ চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে নগরপাল বিনীত গোয়েলের সঙ্গেও দেখা করে৷

বিনীত গোয়েলের সঙ্গে আলোচনার সময়ও এ দিন একটি প্রতীকী শিরদাঁড়া সঙ্গে করে নিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আলোচনার টেবিলে নগরপালের সামনেই সেই শিরদাঁড়ার মডেল রেখে দেওয়া হয়৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা লালবাজার থেকে বেরিয়ে জানান, বিনীত গোয়েলেকে তাঁরা প্রশ্ন করেন, ৯, ১২ এবং ১৪ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে যে যে ঘটনা ঘটেছে, তাঁর নৈতিক দায় তিনি নিচ্ছেন কি না? প্রসঙ্গত, ৯ তারিখ ভোররাতে আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে৷ যে সেমিনার রুমে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, ১২ অগাস্ট তার পাশেই হঠাৎ সংস্কার কাজ শুরু হয়৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগ ওঠে৷ আবার ১৪ তারিখ রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর করে উন্মত্ত জনতা৷

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, বিনীত গোয়েল তাঁদের জানিয়েছেন, আরজি কর কাণ্ডের পর নিজের ভূমিকায় তিনি খুশি৷ তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর কাজে সন্তুষ্ট না হলে তিনি সরে যেতেও তৈরি৷ তবে তিনি যে নিজের থেকে পদত্যাগ করবেন না, তা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বুঝিয়ে দেন নগরপাল৷ আন্দোলনাকীর জুনিয়র চিকিৎসকরা এ দিন দাবি করেন, তাঁদের বহু প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি পুলিশ কমিশনার৷