অসুস্থ স্বামীকে বাড়ি ফিরিযে নিয়ে যাওযার সময় অ্য়াম্বুলেন্সে হেনস্থার শিকার এক মহিলা (Representative image)

Woman Harassed in ambulance: অ্যাম্বুলেন্সে হেনস্থার শিকার মহিলা, অক্সিজেনের অভাবে মৃত স্বামী, নারী নির্যাতনের আরও এক ভয়াবহ ছবি উত্তরপ্রদেশে

গাজীপুর: আরজি কর কাণ্ডে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাস্তায় নেমেছে অগুণিত মানুষ৷ রাজ্য-দেশ জুড়ে একের পর এক আন্দোলন আছড়ে পড়ছে৷ কিন্তু নারী নির্যাতনের মতো নক্কারজনক ঘটনায় কোনও বিরাম ঘটছে না৷ ২৯ অগাস্ট, উত্তর প্রদেশের আরও এক নারী হেনস্থার লজ্জাকর ঘটনা ঘটেছে৷

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের ইন্দিরানগর এলাকায়৷ মহিলা অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন৷ অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ স্বামীর সঙ্গে ছিলেন তিনি ও তাঁর ভাই৷ হঠাৎই অ্যাম্বুলেন্সের চালক মহিলাটিকে যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করে৷ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে স্বামীর অক্সিজেন সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়৷ যার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়৷

আরও পড়ুন: ‘ আরজি কর আমার এক মেয়েকে কেড়েছে, কিন্তু লাখ-লাখ ছেলে-মেয়ে এনে দিয়েছে’

চিকিৎসার জন্য মহিলার স্বামী বেশ কয়েকদিন লখনউয়ের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷ কিন্তু পরে আর্থিক সমস্যার কারণে বাড়ি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এই কারণেই গাজি থানার ইন্দিরানগর থেকে একটা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়৷

আরও পড়ুন: ফ্রিজ খুলতেই দূর্গন্ধ? রেখে দিন এই কটা জিনিস, সুগন্ধে ম ম করবে আপনার রেফ্রিজারেটর

বাড়ি যাওয়া পথেই লজ্জাজনক কাণ্ডটি ঘটে৷ মহিলাটি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে সামনের সিটে বসতে বাধ্য করা হয়৷ তারপর তাকে হেনস্থা করা হয়৷

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমার স্বামী ও ভাই বুঝতে পেরে চিৎকার করেছিল৷ ওরা এর পরও আমাকে যৌন হেনস্থা করছিল৷ আমি যখন ওদেরকে আটকানোর চেষ্টা করি, তখন ওরা অ্যাম্বুলেন্স মাঝপথে থামিয়ে আমার অসুস্থ স্বামীর থেকে জোড় করে অক্সিজেন মাস্ক খুলে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়৷’’

জানা গিয়েছে এর পরেও লোকগুলো মহিলাটির ভাইকে ড্রাইভার কেবিনে আটকে রেখে হেনস্থা চালিয়ে যায়৷ তিনি অভিযোগ করেন, এতেই শেষ নয়, অভিযুক্তরা তাঁর ব্যাগ থেকে দশহাজার টাকা, মঙ্গলসূত্র, আধার কার্ড, হাসপাতালের রিপোর্ট ছিনতাই করে৷

তাপরপ তাঁদের ভ্যান থেকে ফেলে দেওয়ার পর, মহিলার ভাই স্থানীয় পুলিশ থানায় যোগাযোগ করেন৷ সেখান থেকে মহিলার স্বামীকে গোরখপুরের মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগাড় করে দেয়৷ কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷

৪ সেপ্টেম্বর বুধবার, মহিলাটি গাজীপুর থানায় অ্যাম্বুলেন্স চালকের নামে অভিযোগ দায়ের করে৷ লখনউয়ের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জিতেন্দ্র কুমার দুবে জানিয়েছেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিশের একটা দল ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে ধরার সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷ রাজ্য ও দেশ জুড়ে এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটেও এই ধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা নারী নিরাপত্তার বিষয়টিকে বার-বার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে৷