আরও গতি! এ বার আরও দ্রুত যাতায়াত রেল পথে! নতুন ট্রেন আসছে কোন রুটে?

কলকাতা: সরভোগ ও বরপেটা রোড স্টেশনের মধ্যে নতুন ভাবে স্থাপন করা ডাবল লাইন সেকশনের সতর্কতামূলক পরিদর্শন করেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। এই পরিদর্শনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পূর্বে এই সেকশনে নতুন করে নির্মাণ করা। রেলওয়ে পরিকাঠামোর নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও পরিচালন দক্ষতা নিশ্চিত করাও এই পরিদর্শনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।

নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি ১৪২.৯৭ কিমি ডাবল লাইন প্রকল্পের একটি অংশ হল সরভোগ ও বরপেটা রোড সেকশনের কাজ। সরভোগ ও বরপেটা রোডের মধ্যে প্রশস্ততা ০৬.২২ কিমি। এই প্রকল্পে ৩১৯.৯ মিটার স্প্যানের ১টি মেজর ব্রিজ রয়েছে। সেকশনটিতে ০১টি কর্মীযুক্ত লেভেল ক্রসিং গেট রয়েছে। দ্বিতীয় লাইনটি বৈদ্যুতিকীকরণের সাথে চালু করা হয়েছে। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) সেকশনটির রেলওয়ে ব্রিজ, ট্র্যাক ফিটিংস, পি-ওয়ে অ্যাসেট, ইলেকট্রনিক ইন্টার-লকিং, রিলে রুম এবং লেভেল ক্রসিং পরিদর্শন করেন এবং ট্রেন পরিচালনার জন্য কর্মচারীদের প্রস্তুতিও পরীক্ষা করেন।

আরও পড়ুন- তিরিশেই বয়সের ছাপ মুখে? এই ১ সবজি নিংড়ে নেবে বার্ধক্য! ঝকঝকে ত্বকে ফিরবে আত্মবিশ্বাস

নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি ভায়া রঙিয়া ডাবলিং প্রকল্পের ১৪২.৯৭ কিমি-এর মধ্যে ইতিমধ্যে ১০৮.৬৮ কিমি চালু করা হয়েছে। এর পূর্বে নিউ বঙাইগাঁও থেকে বিজনির মধ্যে ১৭.৫৩ কিমি সেকশন, পাঠশালা থেকে নলবাড়ির মধ্যে ২৬.৯১ কিমি সেকশন, বিজনি থেকে সরভোগের মধ্যে ১৮.৯৯ কিমি সেকশন, চাংসারি থেকে আগিয়াঠুরির মধ্যে ৭.৪৮ কিমি সেকশন, বাইহাটা থেকে চাংসারির মধ্যে ১০.১৫ কিমি সেকশন ও বরপেটা রোড থেকে পাঠশালার মধ্যে ২১.৪০ কিমি সেকশন যথাক্রমে ৩০ আগস্ট, ২০২২, ২৪ মে, ১৩ জুন, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২০ মার্চ, ২০২৪ এবং ৩ জুন, ২০২৪ তারিখে চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- মেট্রো স্টেশনে আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ! ধস্তাধস্তি, টিকিট মেশিনের সামনে বসে পড়লেন স্থানীয়রা

এছাড়াও, আজ সরভোগ ও বরপেটা রোডের মধ্যে ০৬.২২ কিমি চালু করা হয়। বর্তমানে নলবাড়ি থেকে বাইহাটা সেকশনের ৩১.৮২৮ কিমি এলাকার মধ্যে দ্বৈতকরণের কাজ অগ্রগতির পথে রয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ক্রসিঙের সময় যথেষ্ট হ্রাস হবে, ফলে আঞ্চলিক ট্রেন চলাচলের সংযোগ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উত্থান ঘটবে। নতুন করে স্থাপিত দ্বিতীয় লাইনটি নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াঠুরি ভায়া রঙিয়া রুট দিয়ে আরও অধিক পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে সহায়ক হবে এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।