মেট্রোর কাজের জন্য ঘর ছেড়ে হোটেলে! সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ,ধস্তাধস্তি!

Central Metro Agitation: মেট্রো স্টেশনে আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ! ধস্তাধস্তি, টিকিট মেশিনের সামনে বসে পড়লেন স্থানীয়রা

কলকাতা: বউবাজারে দুর্গা পিতুরি লেনে ১১টি বাড়ি থেকে মোট ৫২ জন আবাসিককে হোটেলে সরানোর ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা। মেট্রোরেল আধিকারিককে ঘিরে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে চলছে বিক্ষোভ। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট অবরোধ করে ফেলেছেন স্থানীয়রা। এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। ধস্তাধস্তি। টিকিট মেশিনের সামনে বসে আছেন এলাকাবাসী। যাত্রীরা পড়েছেন সমস্যায়।

মেট্রোরেল আধিকারিক জানাচ্ছেন, দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। এর পর পর্যবেক্ষণের পর বাসিন্দারা বাড়ি ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, অগাস্টের ২৬ তারিখ তাঁদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাজের জন্য। ২ তারিখ ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয় সব ঠিক আছে বলে৷ কিন্তু গতকাল রাতে আবার জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। আর কতদিন এ ভাবে চলবে? ক্ষোভ তাঁদের। সাংসদ, বিধায়ক থেকে রাজ্য সরকার— এলাকার বাসিন্দাদের কথা কেউই ভাবেনি। অভিযোগ তাঁদের।

তিরিশেই বয়সের ছাপ মুখে? এই ১ সবজি নিংড়ে নেবে বার্ধক্য! ঝকঝকে ত্বকে ফিরবে আত্মবিশ্বাস

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী বলছেন স্থানীয় কাউন্সিলর? তাঁর দাবি, “কে কী বলছে বলতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি, এখানকার মানুষ খুব সমস্যায় আছে। বেশি কথা বলব না। কারণ কথা উপরের লোকের নজরে পড়তে হয়। এখানে রেল, রাজ্য সরকার থেকে প্রশাসন কেউ তো দায়িত্ব নেবে! আমি কাউন্সিলর আমার সীমিত ক্ষমতা।”

তিনি আরও জানান, বিধায়ক এসেছিলেন। কিন্তু বাড়ির ভিত নড়ে গিয়েছে, এটা কর্তৃপক্ষের দেখার কথা। রাজ্যেরও ভূমিকা থাকা উচিত। একই সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দিনের আলো দেখুক, আর্জি কাউন্সিলরের।

সূত্রের খবর, মেট্রো রেলের একেবারে শেষ ধাপের কিছু কাজ এখন চলছে সুড়ঙ্গের মধ্যে। সেখানেই শ্যাফটের নীচে জল বেরিয়ে আসে পুনরায়। মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন এটা বিপদজনক ব্যাপার নয়। কিন্তু রাজ্যের এসওপি অনুযায়ী বউবাজারে কিছু হলেই যেন বাসিন্দাদের সরানো হয়। তাই বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত আধিকারিকরা বউবাজারে গিয়েছেন।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে এই সময়েই একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে বউবাজারে মেট্রোর কাজ করতে গিয়ে।

মেট্রো রেলের এক আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। এর পর পর্যবেক্ষণের পর বাসিন্দারা বাড়ি ফিরে আাসতে পারবেন। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২৬ তারিখ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাজ হওয়ার জন্য। এরপর ২ তারিখ ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয় সব ঠিক আছে বলে৷ কিন্তু গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে আবার জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে যেতে বলা হয় তাঁদের। আর কতদিন এভাবে চলবে। এটাই এখন বাসিন্দাদের প্রশ্ন ৷