Rajesh Khanna-Javed Akhtar: ‘…কাজ করা খুবই মুশকিল’! রাজেশ খান্নাকে নিয়ে এমন কেন বললেন জাভেদ আখতার

বলিউডের কিংবদন্তি চিত্রনাট্যকার জুটি জাভেদ আখতার এবং সেলিম খান। তাঁরা দিলীপ কুমার, রাজেশ খান্না এবং অমিতাভ বচ্চনের মতো ভারতীয় চলচ্চিত্রের তিন সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে এই কিংবদন্তি মহাতারকার মধ্যে কার সঙ্গে কাজ করা সবথেকে কঠিন ছিল, সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন জাভেদ আখতার। তাঁর বক্তব্য, রাজেশ খান্নার সঙ্গে কাজ করাই সবথেকে কঠিন ছিল। কারণ তাঁকে সব সময় ঘিরে থাকতেন স্তাবকরা।

স্যাম ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ করে জাভেদ আখতার বলেন যে, “ওটা একটা সময় ছিল। সেই সময় ভারতে যারা জন্মাত, তারা প্রথমে রাজেশ খান্না বলত। এরপর মা-বাবা বলত। কিন্তু সেটা খুব একটা দীর্ঘ সময় নয়। এরপর একটা সময় এসেছিল, যখন আমরা বুঝেছিলাম যে, তাঁর (রাজেশ খান্না) সঙ্গে কাজ করা আমাদের সঙ্গে কঠিন হয়ে উঠবে। তাঁর আশপাশে প্রচুর মানুষ ঘিরে থাকতেন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই স্তাবক এবং পরগাছা ধরনের মানুষ। যার জেরে ওঁর সঙ্গে কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে উঠেছিল।”

আরও বলে চলেন কিংবদন্তি চিত্রনাট্যকার। জাভেদ আখতারের বক্তব্য, “সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছিল। যদিও আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। এমনকী অনেক পরে আমরা একটা ছবিও করেছি। কিন্তু যে ধরনের ছবির চিত্রনাট্য আমরা লিখতাম, কিংবা যে ধরনের ছবি আমাদের মাথায় আসত, সেগুলি অমিতাভ বচ্চনের মতো অভিনেতার জন্য উপযুক্ত ছিল।”

আরও পড়ুন: সত্যিই কি চরম পদক্ষেপ করেন? কীভাবে মারা গেলেন মালাইকার বাবা? প্রকাশ্যে এল সত্যি

আরও পড়ুন: বাবার চরম পদক্ষেপ! শেষ দেখা দেখতে নাইট স্যুটেই ছুটে এলেন মালাইকা! পাশে অর্জুনও

সেলিম-জাভেদ জুটি একাধিক ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এই সুপারহিট ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল – ‘শোলে’, ‘ডন’ এবং ‘অগ্নিপথ’। অমিতাভ বচ্চনের সাফল্যের পিছনে রয়েছে এই কিংবদন্তি চিত্রনাট্যকার জুটির উল্লেখযোগ্য অবদান। এমনকী ভক্তদের মনে ‘অ্যাঙ্গরি ইয়ং ম্যান’ হিসেবে অমিতাভকে স্থান করে দিয়েছিলেন তাঁরাই। অমিতাভ প্রসঙ্গে জাভেদের কথায়, “সেই সময় তিনি সুপারস্টার ছিলেন না। কিন্তু উনি দারুণ ভাল অভিনেতা ছিলেন। তিনিই সেই ব্যক্তি, যাঁকে দেখে আমাদের মনে হয়েছিল যে, এই মানুষটাই আমাদের বিজয় হয়ে উঠতে পারেন।”

এখানেই শেষ নয়, জাভেদ আখতার আরও বলেন যে, “যদি আপনি অমিতাভ বচ্চন অথবা দিলীপ কুমারের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে আপনি বুঝবেন যে, অভিনেতার উপর আপনি দায়িত্ব চাপাতে পারবেন। আর সেই দায়িত্ব তিনি বয়ে নেবেন। কখনও কখনও যখন মনে হয় যে, অভিনেতার প্রতিভা সীমিত, তখন সেই অনুযায়ী দৃশ্যটা তাঁর জন্য সহজ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই অভিনেতারা সেই চাপ বহন করতে পারতেন। অমিতাভ বচ্চনকে যেমন যে কোনও দৃশ্যই দেওয়া হোক না কেন, তিনি তা পারদর্শিতার সঙ্গে করতে পারেন। যে লাইনই তাঁকে বলতে বলা হোক না কেন, তিনি সেটাকে একেবারে ন্যাচারাল করে তুলতে পারেন।”