তিরিশ ঘণ্টা পার, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

Junior doctors reply to government: ‘যাঁরা রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই রাজনীতি করছেন!’ রাজ্যকে জবাব জুনিয়র চিকিৎসকদের

তাঁদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷ বরং যাঁরা তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই আসলে রাজনীতি করছেন বলে রাজ্য সরকারকে পাল্টা জবাব দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

শুধু তাই নয়, কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়লেও তার দায়ও তাঁদের নয় বলেই দাবি করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, রাজ্য সরকারের মতো তাঁরাও খোলা মনেই আলোচনা চাইছেন৷ কিন্তু তাঁদের দেওয়া শর্ত পূরণ না হলে আলোচনা সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া কোনও পূর্ব নির্ধারিত শর্ত মেনে আলোচনায় বসবে না রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবের পিছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা রয়েছে৷

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম রুমেলিকা বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা সরকারের কাছ থেকে একটা প্রেস বিবৃতি পেলাম, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷ রাজ্যে মোট ৯৩ হাজার চিকিৎসকদের মধ্যে জুনিয় চিকিৎসকদের সংখ্যা মাত্র ৭৫০০৷ আমাদের কর্মবিরতিতে যদি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তার দায় রাজ্যের ও স্বাস্থ্য দফতরের৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে বেহাল অবস্থা সেটাই প্রমাণ হয়৷’

আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক সত্যদীপ সরকার বলেন, ‘আমরাও খোলা মনে আলোচনা করতে চাই৷ তাই আমরা সরাসরি মানুষের সামনে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম৷’ চিকিৎসক হিমাদ্রি শেখর বেরা বলেন, ‘ভোর রাতে ই মেল করার মধ্যে আমাদের অন্তত কোনও রাজনীতি ছিল না৷ যারা এর পিছনে রাজনীতি দেখছেন,তারাই আসলে রাজনীতি করছেন৷ আন্দোলনকারীরা পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন, সদর্থক পদক্ষেপ করে রাজ্যের পক্ষ থেকে তাঁদের ই মেলের জবাব পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে৷’