এই আবহে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। তবে চিকিৎসকদের দাবি পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। (রিপোর্টার-- অর্ণব হাজরা)

Junior Doctor’s Protest-Nabanna: ‘চেয়ারের জন্য নয়, চেয়ারে ভরসা রেখেই আলোচনায় এসেছিলাম, আমরা অপেক্ষা করতে রাজি’, স্বাস্থ্য ভবনে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক হল-ই না মুখ্যমন্ত্রীর। আলোচনা সরাসরি সম্প্রচার করতে চাইছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু মানতে রাজি নন রাজ্য সরকার। এদিকে, নিজেদের দাবিতে অটল প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। শেষপর্যন্ত ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” বাংলার মানুষের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি। তিন দিনেও সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম।”

অন্যদিকে, নবান্নের সামনেই সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ততক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। ডাক্তাররা বললেন, ” প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বৈঠক হল না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সুপ্রিম কোর্ট বিচার করবে সেটা আমরাও মানি। এই চেয়ার আর এই বিল্ডিংয়ের প্রতি আমাদের ভরসা আছে। আমরা অপেক্ষা করতে রাজি।”

জুনিয়র ডাক্তাররা আশা রাখছেন, আলোচনায় সমাধান হবে। তাঁদের কথায়, ” প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা একই কথা বলেছি, কী কথা হবে সেটা লাইভ স্ট্রিমিং করা হোক। আমাদের কথা সাধারণ মানুষ জানুক। আমাদের দাবি ন্যায্য ছিল। লাইভ স্ট্রিমিং। ওঁরা সুস্পষ্ট উত্তর দেননি। আমরা রাজ্যের সর্বোচ্চ অফিসে এসেছিলাম। আমরা ওঁর কাছে ভাই বোনের মতোই।”

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ” ”ওরা বিচার চায় না, ওরা চেয়ার চায়। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আমার চাই না। কিন্তু তিলোত্তমা বিচার পাক। আমার আন্দোলনে জন্ম। আমি আন্দোলন কে সমর্থন জানাই। মানুষ এসেছিলেন বিচার চাইতে। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। পরিবারগুলো যদি কৈফিয়ত চায় আমরা তাদের ও কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।”  মুখ্যন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, ” আমরা এসেছিলাম ন্যায় বিচারের দাবিতে। আমাদের বোন, অভয়ার বিচারের দাবিতে। ওর পরিবারের জন্য। আলোচনা করতে এসেছিলাম। চেয়ারের দাবিতে আমরা আসিনি।”

জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল বলেন, ” আমরা এখনও আশা রাখছি। এই চেয়ারে ও এই বিল্ডিংয়ে ভরসা আছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছি। আশা রাখব, গণতান্ত্রিক দেশে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আবার যে কোনও জায়গায় আলোচনায় ডাকলে আমরা যেতে প্রস্তুত। আমরা বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি। আমরা আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। আর আজকেই প্রথম সুস্পষ্ট ভাবে জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর আগে মেলে বলা হয়নি উনি বৈঠকে থাকবেন।” তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ” প্রত্যেক মানুষের মৃত্যু দুঃখজনক। আমাদের কাছে পারসোনাল লস। মনে হয় আমরা হেরে গেলাম। এত মেডিক্যাল কলেজ, কিন্তু পরিকাঠামো কোথায়?”