Mango: কোনও নতুন পদ্ধতি নয়, পুরনো পন্থাতেই গাছে হলুদ পাকা আম, স্বাদে গুরের থেকেও মিষ্টি

মালদহ: পুরনো পদ্ধতিতেই এখনও মালদহে আম গাছের চারা তৈরি হচ্ছে।‌ এমনকি এখনও এই আমের চারার চাহিদা ব্যাপক জেলা সহ ভিন রাজ্যে। মালদহের আমগাছের এই চারা গোটা পশ্চিমবঙ্গ সহ বিহার ঝাড়খন্ডে ব্যাপক চাহিদা। কারণ এই আমের চারায় আমের ফলন ভাল হয়। দুই এক বছরের মধ্যেই গাছে ফলন শুরু হয়। এই আমের চারা সব থেকে বেশি সুবিধা, মাঠে চারা রোপণ করার পর গবাদিপশু গাছের শাখাপ্রশাখা খেতে পারে না। কেউ সহজে এই গাছ ভাঙতেও পারে না। কারণ চারা অবস্থাতেই এই গাছগুলির উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফিট।

বিরাট উচ্চতার এই চার আমগাছ প্রাচীন কাল থেকেই মালদহে তৈরি করা হচ্ছে। এই ভাবে চারা তৈরিকে কলম পদ্ধতি বলে। কলম বাঁধার পর একটি চারা তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। নার্সারি মালিক মুকুলেস শেখ বলেন, প্রাচীন এই পদ্ধতি। কলম পদ্ধতিতে আম গাছের চারা অনেক বড় হয়। গবাদি পশু সহজে খেতে পারে না। ফলন ভাল হয় গাছে। বর্তমানে এই গাছ রাজ্যের বাইরে ও ব্যাপক চাহিদা।

আরও পড়ুনMother-Son: মর্মান্তিক! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও মা বেঁচে গেলেন, চোখের সামনে দেখলেন ছেলের মৃত্যু, চোখের জলে ভাসলেন

আমের জন্য বিখ্যাত মালদহ জেলা। এই জেলায় প্রায় ২০০ প্রজাতির আম রয়েছে। এই সমস্ত প্রজাতির আমের চারাও তৈরি হয় প্রতিবছর। আমে শেষ হওয়ার পর সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে শুরু হয় আমের চারা গাছ বিক্রি। এই সময়ে নতুন নতুন আমবাগান তৈরির জন্য চারা গাছ রোপন করা হয়ে থাকে। তবে যারা বিখ্যাত প্রজাতির আমের চারার চাহিদা বাজারে বেশি থাকে। এই কলম পদ্ধতিতে আম গাছের চারা তৈরি করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। আমের আটি থেকে বেরোনো ছোট চারা গাছ প্রায় তিন বছর লালন পালন করা হয়। তারপর সেই চারা গাছ তুলে বড় আম গাছের সরু ডালের সঙ্গে কলম বাধা হয়। কলম বাধা অবস্থায় প্রায় ছয় মাস রাখা হয়।

আরও পড়ুন Karam Puja: ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে উৎসব, ভাইদের জন্য বিশেষ পুজো বোনদের, চা বাগানে খুশির মেজাজ

তারপর একটি চারা গাছ তৈরি সম্পন্ন হয়। প্রাচীন এই পদ্ধতিতেই এখনও মালদহ জেলা জুড়ে আমের চারা তৈরি করা হয়ে আসছে। বর্তমানে মালদহের বাজারে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে একটি আম গাছের চারা। তবে আমের প্রজাতির ওপর দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই সময় মালদহের এই আমের চারা বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক হারে বিক্রিও হচ্ছে।

হরষিত সিংহ