কলকাতা: নবান্ন অথবা স্বাস্থ্য ভবনের মতো কোনও প্রশাসনিক দফতরে না হয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কেন বৈঠক? এই প্রশ্ন তুলেও রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে কালীঘাটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
একই সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মতো ১৫ জন নয়, কালীঘাটের বৈঠকেও তাঁরা ৩০ জন প্রতিনিধিকে নিয়েই যাচ্ছেন৷ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে বাসে করে কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
আরও পড়ুন: পদত্যাগের আগে শেষ চিঠিতে মমতাকে কী লিখেছিলেন, ফাঁস করলেন জহর সরকার
যদিও রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, ১৫ জনের বেশি প্রতিনিধি নিয়ে এলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হবে না৷
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘নবান্ন অথবা স্বাস্থ্য ভবনের মতো প্রশাসনিক কোনও জায়গায় না হয়ে এই বৈঠক কেন কালীঘাটে ডাকা হল তা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন থাকছে৷ ওখানে ডেকে আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে, ভয় দেখিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না৷ আমাদের সদিচ্ছা আছে বোঝাতেই আমরা আলোচনায় যাচ্ছি৷ আমরা বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছি, পাঁচটা ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে আলোচনা করতে চাই৷ দেখতে চাই ওনার জবাব কী হবে৷’
এ দিন দুপুরেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরই দু পক্ষ থেকেই নতুন করে আলোচনায় বসার বার্তা দেওয়া হয়৷ সেই মতো বিকেলেই আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বৈঠকের জন্য সময় এবং স্থান জানতে চেয়ে ই মেল করেন মুখ্যমন্ত্রীকে৷ তার জবাবেই মুখ্যসচিব মেল করে কালীঘাটে বৈঠকের কথা জানান৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, পাঁচ দফা দাবির জায়গায় অনড় রয়েছেন তাঁরা৷