আজ আপনাদের এমন একটি ওষুধ সম্পর্কে বলব যা প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায়। গরম মশলার ভিতরেও এটি থাকে। ঠিক ধরেছেন। দারুচিনির কথা বলা হচ্ছে। এটি সাধারণত মশলাদার খাবারকে সুস্বাদু করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি কিন্তু জীবনদায়ী ভেষজ থেকে কম নয়।নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের সাত বছরের অভিজ্ঞ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং জানাচ্ছেন, একটি অত্যন্ত সুগন্ধি এবং সুস্বাদু মশলা। আয়ুর্বেদ অনুসারে দারুচিনি খুবই কার্যকরী একটি ওষুধ। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি সঠিকভাবে দারুচিনি সেবন করা হয়, তাহলে শরীর থেকে সব রোগ নির্মূল করা যায়। এটি পেটের জন্য একটি পরম আশীর্বাদ।বিশেষজ্ঞদের মতে, দারুচিনি শুধু একটি নয়, অনেক রোগে খুব ভাল কাজ করে। যেমন হেঁচকি, ক্ষুধামন্দা, বমি, চোখের অসুখ, দাঁতের ব্যথা, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি, পেট ফাঁপা, কোলেস্টেরল, নাকের রোগ, ডায়রিয়া, অন্ত্রের রোগ, পেটের রোগ, চর্মরোগ, জ্বর, বধিরতা, সাইনাস, রক্তপাত, টিবি, আর্থ্রাইটিস- সবেতে উপকারী।গরম জলে দারচিনি যোগ করলে তা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে, যা কার্ডিয়াক রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।রোজ সকালে দিন শুরু করুন এক গ্লাস জলে এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে৷ এছাড়াও নানাভাবে ডায়েটে রাখুন দারচিনি৷ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার৷ডাঃ সরোজ গৌতম জানান, আয়ুর্বেদে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কিছু কার্যকরী পদ্ধতির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেগুলো কোলেস্টেরল কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে তেঁতুলের বীজ, দারচিনি এবং রসুনকে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে উপকারী বলে মনে করা হয়।মেথি ও দারচিনির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য কমিয়ে দেয় ইনফ্লেম্যাশন। ক্রনিক এই রোগ দূর হলে কেটে যায় পেটের বহু সমস্যা।তবে দারুচিনি খুব গরম। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এটি খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত দারচিনি খেলে মাথাব্যথা বাড়ে।
