বেঙ্গালুরু: ফের চন্দ্র অভিযান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পর এবার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনবে ইসরো। পাঠানো হবে চন্দ্রযান ৪। বুধবার অভিযানের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বরাদ্দ করা হয়েছে ২,১০৪ কোটি টাকা।
মিশনের জন্য নতুন মহাকাশযানের পাশাপাশি দুটি লঞ্চ ভেহিক্যাল, ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, মহাকাশযানের ডিজাইন যাচাইয়ের জন্য বিশেষ পরীক্ষার খরচও এর মধ্যেই ধরা হয়েছে। চন্দ্রযান ৪-কে চাঁদের মাটিতে নিরাপদে অবতরণ এবং চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে ইসরো।
নয়া চন্দ্র অভিযানের কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একাধিক পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, “চন্দ্রযান ৪ মিশনের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য এটি গর্বের মুহূর্ত। মহাকাশ প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর হবে ভারত। উদ্ভাবনী শক্তির উন্নতি হবে। সঙ্গে মিলবে আরও একাধিক সুবিধাও।’’
২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। শুধু পাঠালেই হবে না, পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরিয়েও আনতে হবে। চন্দ্রযান ৪ মিশনেই হয়ে যাবে তার মহড়া । আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে চন্দ্রযান ৪ উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্র সরকার।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, “এই অভিযানের জন্য একেবারে ভিন্ন প্রযুক্তির প্রয়োজন। যা চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ বাঁচাবে, চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে এবং পুড়ে না গিয়ে পুনরায় পৃথিবীতে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। এটা শক্ত কাজ। কিন্তু ২০৪০ সালের মধ্যে যদি আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে চাই, তাহলে এই কৌশল আয়ত্ত করতেই হবে।’’
এর জন্য স্পেস ডকিং পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে ইসরো। এর নাম দেওয়া হচ্ছে SPADEX বা স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট। দুটি মিনি স্যাটেলাইটকে আলাদা দুটি কক্ষপথে পাঠানো হবে। এর কাজ হবে, মহাকাশে নমুনা স্থানান্তর করতে সক্ষম হওয়ার জন্য পুনরায় সংযোগ স্থাপনের হেতু তাঁদের যথেষ্ট কাছাকাছি আনা।
২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে স্পেস স্টেশন তৈরিরও লক্ষ্য রয়েছে ইসরোর। এর জন্যই গগনযান এবং চন্দ্রযানের মতো মিশন লাগাতার চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।