Kalatan Dasgupta

Kalatan Dasgupta: মুক্ত কলতান, বাম যুবনেতাকে মুক্তির নির্দেশ হাই কোর্টের, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার নয়

কলকাতা: মুক্ত কলতান। বাম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে মুক্ত করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ৫০০ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আদালত জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া ‘অডিও টেপ কাণ্ড’-সহ এই সংক্রান্ত আর কোনও মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না বিধাননগর পুলিশ।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ নভেম্বর। আদালতের নির্দেশ, এফআইআর-এর বৈধতা নিয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাল্টা চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে পারবেন কলতান নিজেও।

আরও পড়ুন:আরজি করের প্রাক্তন সুপার বুলবুলকে তলব CBI-র! ওসি অভিজিতের পর এবার দুই এএসআইও সিজিও দফতরে

বুধবার অডিও-টেপ কাণ্ডে কলতান দাশগুপ্ত মুক্তির আবেদনের শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সন্ধে ৭টায় রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। নিজের চেম্বার থেকে রায় জানান তিনি। জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিও ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে আসে। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে বড়সড় হামলার চক্রান্ত চালাচ্ছে বামেদের একটি যুব সংগঠন। দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ (যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ18 বাংলা৷) রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করতেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুণাল ঘোষ৷ সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে।

আরও পড়ুন:পার্থ, কল্যাণময়দের জামিন তরজা হাইকোর্টে! সিবিআই -কে ‘যুক্তি’ দেখাতে বললেন বিচারপতি

বৃহস্পতিবার আদালতে কলতান দাশগুপ্তের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এক্ষেত্রে তিনটি সিজার লিস্ট। সাক্ষীরা সবাই পুলিশ। এখানেই সবচেয়ে বড় সন্দেহ যে এক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। সঞ্জীবের কাছে কিপ্যাড ফোন ছিল যাতে রেকর্ড করা যায় না। তাহলে কে রেকর্ড করল? ফোন যদি ট্যাপ করা হয় তাহলে সেটাও আইনের পরিপন্থী। আমরা তাই কলতানের বিরুদ্ধে করা FIR খারিজের আবেদন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘41A নোটিস না দিয়ে গ্রেফতার করা বেআইনি। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’

অন‍্যদিকে, রাজ‍্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘টেলিফনিক কথোপকথন শুনুন! সেখানে কলতান যা বলেছেন, তাতে যারা গন্ডগোল বাধাতে চাইছে, তাদের বাধা দেওয়ার বদলে তাকে এই কাজ করতে অনুপ্রানিত করছেন এবং অশান্তি পাকানোর কাজ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। অর্থাৎ এখানে অভিযুক্তের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।’

এরপর রাজ্যের তরফের আইনজীবীকে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন করেন, ‘একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে পেন ড্রাইভ পাওয়া গেল?  অভিযুক্তের ফোন থেকে রেকর্ড করা যায় না। তাহলে পেন ড্রাইভ এল কোথা থেকে? সাত দিন গ্রেফতারির পর পুলিশ কেন একথা বলছে না? যে ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলছে সেটা মিডিয়ার কাছে গেল কীভাবে? কথোপকথনে আরও যাদের নাম এসেছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে কি? ভয়েস রেকর্ড কি টেস্ট করেছে পুলিশ? না হলে কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার?”