৯০ এর দশকে সালমান খান, শাহরুখ খান এবং আমির খান বলিউডে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। এই তিন খানকে তখনকার দিনে ইন্ডাস্ট্রিতে নিশ্চিত হিট বলে মনে করা হত। সেই যুগের অনেক শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী তাঁদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে এবং তাঁরা খুব সফলও হয়েছিল। তিনি একজন অভিনেত্রী যিনি শাহরুখ এবং আমিরের সঙ্গে অনেক সুপারহিট এবং ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র দিয়েছেন, কিন্তু সলমান খানের সঙ্গে তাঁর ছবি ব্যাক-টু-ব্যাক ফ্লপ হয়েছে।সলমান খান প্রীতি জিনতা, রাভিনা ট্যান্ডন, কারিশমা কাপুর, সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই, ভূমিকা চাওলার সঙ্গে অনেক হিট ছবি দিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকের সলমান খানের অনেক ছবি এখনও দর্শকদের প্রিয়। সলমান খান-রানি মুখোপাধ্যায় সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন, কিন্তু এই জুটি দর্শকরা কখনই গ্রহণ করেননি।১৯৯৯ সালে ‘হ্যালো ব্রাদার’ ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন রানি মুখোপাধ্যায়। এই ছবিতে সলমান খানের ভাই আরবাজ খানকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে। ‘হ্যালো ব্রাদার’ বক্স অফিসে ব্যর্থ।২০০০ সালে ‘কহিন পেয়ার না হো যায়’ ছবিতে এই জুটিকে আবার একসঙ্গে দেখা যায়। ‘হ্যালো ব্রাদার’-এর চেয়ে এই ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে অনেক ভাল সাড়া পেয়েছিল। তবে ছবিটি বক্স অফিসে ভাল পারফর্ম করতে পারেনি।রানি মুখার্জি সলমান খানের সঙ্গে ‘হর দিল জো প্যায়ার করেগা’, ‘বাবুল’, ‘সাওয়ারিয়ান’, ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’-এর মতো অনেক ছবিতে কাজ করেছিলেন। কোনও ছবিই বক্স অফিসে সুপারহিটের খেতাব অর্জন করতে পারেনি।রানি মুখোপাধ্যায়ের ফিল্ম কেরিয়ারের কথা বললে, তিনি ৯০ এর দশকে অনেক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছিলেন। তিনি শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘চলতে চলতে’, ‘বীর-জারা’, ‘কভি আলবিদা না কেহনা’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। একই সময়ে, তাঁকে আমিরের সঙ্গে ‘গুলাম’ এবং ‘তালাশের’ মতো হিট ছবিতে দেখা গেছে।রানি মুখোপাধ্যায়, যিনি বলিউডে নিজের জন্য একটি নাম তৈরি করেছেন, ২০১৪ সালে পরিচালক ও প্রযোজক যশ চোপড়ার বড় ছেলে আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রানির মোট সম্পত্তি 200 কোটি রুপি। স্বামী আদিত্য চোপড়ার আয়-সহ রানি ৭৪০০ কোটি টাকার মালিক।
