বিনোদন Bollywood News: স্টোর রুমে বাস! বাবার শেষকৃত্য করারও টাকা ছিল না! এখন কোটি কোটির মালিক বলি-তারকা Gallery September 24, 2024 Bangla Digital Desk এক সময় দারিদ্র্যই ছিল সঙ্গী। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভাবাটুকুও ছিল বিলাশিতা। তবে এমনও এক বলিউড তারকা আছেন, যিনি প্রতিভার জোরে জীবনের অভিমুখ পরিবর্তন করেন। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর পকেটে ছিল মাত্র ৩০ টাকা। ছ’বছর কাটিয়েছেন স্টোর রুমে। যাবতীয় অসুবিধার মধ্যেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন ফারাহ খান। ফারাহ খানের বাবা কামরান খান ছিলেন একজন স্টান্টম্যান। যিনি পরে চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়েছিলেন। ফারাহ যখন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন, তখন তিনি মাইকেল জ্যাকসনের থ্রিলার মিউজিক ভিডিও দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি আগে কখনও নাচ করেননি। কিন্তু মিউজিক ভিডিওটি তাঁকে এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে তিনি নাচের প্রতি আগ্রহী হন। তিনি নাচ শেখেন এবং নিজের নাচের দল শুরু করেন। ফারাহ খানের পরিবার এক সময় আর্থিকভাবে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু তাঁর বাবার ছবিতে বিনিয়োগ করলে আর্থিক অসুবিধা দেখা দেয়। সব সঞ্চয় চলে যায়। ঋণশোধের জন্য স্ত্রীর গয়না-সহ সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। ফারাহর বাবা যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। বাবার শেষকৃত্যের টাকাও ফারাহর পরিবারের কাছে ছিল না। তাঁর কাছে ছিল মাত্র ৩০ টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাবার শেষকৃত্য করতে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি প্রায় ছ’বছর ধরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে এক আত্মীয়ের স্টোর রুমে থাকতেন। ‘জো জিতা উওহি সিকান্দার’ ছবির মাধ্যমে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ শুরু করেন ফারাহ খান। এর পরে তিনি অনেক বিখ্যাত গান কোরিওগ্রাফ করেছেন। ‘কভি হ্যান কাভি না’-এর সেটে তিনি শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁরা ভাল বন্ধু হয়ে যান। ৫৯ বছর বয়সি ফারাহ খান বলিউডের ধনী পরিচালকদের মধ্যে একজন। বলা হয় যে, তাঁর মোট সম্পদ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। তিনি ২০০৪ সালে শিরিষ কুন্দেরকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিনটি সন্তান আছে।