নিম্নমানের হওয়ায় গুণমানে পাস করতে পারল না এই ওষুধ গুলি। ছবি- প্রতীকী

Medicine :প্যান ডি থেকে শেলক্যাল, গুণমান পরীক্ষায় ফেল জনপ্রিয় বহু ওষুধ! তালিকা দেখলে আঁতকে উঠবেন

নয়াদিল্লি: অ্যান্টাসিড প্যান ডি, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট শেলক্যাল, অ্যান্টি ডায়বেটিক ওষুধ গ্লিমপিরাইড, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসার্টেন এবং আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে পারল না। দেশের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার পরীক্ষায় সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ামক এবং পরিচালন সংস্থা বা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিকো)-এর পক্ষ থেকে গত অগাস্ট মাসে গুণমান পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি এমন প্রায় ৫০টি ওষুধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত, বাজার চলতি ওষুধ বেছে নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল সেখানেই মোট ৫০টি বিভিন্ন বহুল ব্যবহৃত ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।
এই ওষুধগুলির মধ্যে বেশ কিছু জটিল রোগের ওষুধও রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন জনপ্রিয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা যেমন, হেটেরো ড্রাগস, অ্যালকেম ল্যাবরেটরিজ, হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড (হ্যাল) এবং কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস এবং ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেডও রয়েছে। কিন্তু, ইতিমধ্যেই কোম্পানিগুলি এই ফলাফল নস্যাৎ করে দাবি করেছে, নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধগুলি যা গুণমানের পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি তা নিম্ন মানের এবং তা তাঁদের দ্বারা প্রস্তুত করা নয়। এমনটাই, করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ টেলমিসার্টেনের বেশ কিছু ব্যাচ এই পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। এই ওষুধ মূলত উৎপাদন করে হরিদ্বারের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা,লাইফ ম্যাক্স ক্যানসার ল্যাবরেটরিজ।

আরও পড়ুন: ৭৮ বছরে কেউ সরকারি চাকরি পাননি, ক্লাস ১০ পাস দু’জন, জানুন এই গ্রামের কাহিনী
পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি, হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড (হ্যাল) এর কিছু ওষুধও৷ তারা মূলত পাকস্থলির সংক্রমণে ব্যবহৃত ওষুধ মেট্রোনিডাজোল বানায়। এ ছাড়াও শেলক্যালের প্রস্তুতকারক সংস্থা টরেন্ট ফার্মাসিটিউক্যাল এবং উত্তরাখণ্ডের প্রস্তুতকারক সংস্থা পিউর অ্যান্ড কেয়ার হেলথকেয়ারও এই তালিকায় রয়েছে।

আরও পড়ুন: কৃষি আইন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঢোক গিলতে বাধ্য হলেন কঙ্গনা
কিছুদিন আগেই কলকাতার পরীক্ষাগারে ক্ল্যাভাম ৬২৫ এবং প্যান ডি ব্র্যান্ডের জাল ওষুধ ধরা পড়ে৷ আবার হায়দরাবাদের হেটেরো সংস্থার ক্যাপিডেম এক্সপি ৫০-ও একই ভাবে পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।
ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছে ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।

এই বিষয়ে সান ফার্মার এক মুখপাত্র জানান, তাদের সংস্থার যে ওষুধগুলি গুণমান পরীক্ষায় পাস করেনি বলে দাবি করা হচ্ছে, সেগুলি সবই জাল এবং নিম্ন মানের৷ সান ফার্মা ওই সমস্ত ওষুধ তৈরিই করেনি তাদের সংস্থা৷
এই ধরনের নিম্ন মানের ওষুধ শুধু দেশের মধ্যেই সরবরাহ করার অভিযোগ বহুদিনের। তা ছাড়াও দেশের বাইরেও বিভিন্ন দেশেও যেমন, গাম্বিয়া উজবেকিস্তান, আমেরিকা, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা-সহ একাধিক দেশে নিম্ন মানের ওষুধ পাঠনোর অভিযোগ উঠেছিল। এরমাঝেই এই রিপোর্ট সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।