দেশ IMD Weather Latest Updates: কলকাতায় বৃষ্টি থামলেও বন্যা পরিস্থিতিতে হাহাকার দেশে! কতটা প্রভাব পড়ছে বাংলায়? দেখুন Gallery September 29, 2024 Bangla Digital Desk টানা বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। যদিও বৃষ্টিতে বিরাম এসেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণে, দেশের অন্যান্য রাজ্যে এখনও মারমুখী বর্ষা। বিহারের বন্যা পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে বঙ্গেও। প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যের ছবিটা ভয়াবহ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহার। নেপালে ভারী বর্ষণের কারণে বিহারের নদীগুলোর জলস্তর অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের ২০টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে পূর্বাচল ও আওধে গত তিনদিন ধরে পূর্বাচল ও আওধ জেলায় অবিরাম বৃষ্টিতে বজ্রপাত, দেয়াল-ছাদ ধসে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ পড়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। টানা বর্ষণে রাপ্তি, ঘাঘরা ও সরয়ু নদী উপচে বইতে শুরু করেছে। গোন্দায় ঘাঘরা নদী বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় অযোধ্যায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আম্বেদকর নগরে, একটি কচ্ছা দেওয়াল ধসে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। অপর একটি ঘটনায় ছাদের নিচে চাপা পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সুলতানপুরে কচ্ছা বাড়ির দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যু ও এক নারী আহত হয়েছেন। এছাড়া বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সুলতানপুরে ৩০টির বেশি কাঁচা ও কংক্রিটের দেওয়াল ধসে পড়েছে। আজমগড়ে বজ্রপাতে এক মেষপালকের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে জৌনপুরে এক মহিলা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আজমগড়ে বজ্রপাতে এক মেষপালকের মৃত্যু হয়েছে এবং দু’জন দগ্ধ হয়েছেন। বালিয়ায় এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু এবং একজন দগ্ধ হয়েছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের অনেক জেলায় সতর্কতা জারি। তিন দিন পূর্বাচল ও আওধের দুর্যোগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে! আহত ১৮ জন। বাল্মীকিনগরের ৩৬টি ব্যারেজ এবং কোসির ৫৬টি ব্যারেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। নেপালের নারায়ণঘাট থেকে ৬ লাখ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, এতে পাহাড়ি নদীগুলোর জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। গৌনাহার ২০০ গ্রামে বন্যার জল ঢুকেছে। কোসি ব্যারেজ থেকে কোসির নিষ্কাশন রেকর্ড করা হয়েছে 5.57 লক্ষ কিউসেক। ব্যারেজের ৫৬টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ৫৬ বছর আগে ১৯৬৮ সালে ব্যারেজ থেকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৮৮ হাজার কিউসেক জল নিঃসরণ রেকর্ড করা হয়েছিল। কোশীতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোসি ব্যারাজ দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে নেপাল প্রশাসন। প্রধান প্রকৌশলী ই বরুণ কুমার জানান, বর্তমানে কোসি বাঁধ ও ব্যারেজের কোনো বিপদ নেই। দুপুর পর্যন্ত মধুবনী সংলগ্ন কোসি ব্যারেজ থেকে 5.67 লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সরাইগড় ভাপতিয়াহিতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বহু বাড়িতে জল ঢুকেছে। সুপালের ডিএম কৌশল কুমার বলেছেন যে বাঁধের ভিতরে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যেতে সতর্ক করা হয়েছে। সিকিমে ভূমিধসে যান চলাচল ব্যাহত চারদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে সিকিমে পরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। উত্তর সিকিম রাজ্য থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। ভূমিধসের কারণে এখানকার প্রধান সড়ক বন্ধ রয়েছে। পাহাড় থেকে পাথর পড়ার কারণে রাজ্যের আরও অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। দরামদিনে ভূমিধসে ১৭টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের কারণে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়ক অবরুদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে এবং ভারী বৃষ্টির সময় চরম সতর্কতা অবলম্বনের আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে পুজোর মুখে আবারও বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বাংলায়। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গেও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে। কোশী নদীর জল নেপাল ছেড়েছে৷ সেই জল বিহার হয়ে বাংলায় আসছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরে এর প্রভাব পড়বে। বিহারও ভাসবে৷ বাংলাও ভাসবে৷ ফারক্কায় ড্রেজিং হয় না। ফলে তারাও জল ধরে রাখতে পারে না। ফারাক্কা ব্যারেজ কেন্দ্র দেখে।”