ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাঙ্ক কখন অ্যাকাউন্ট Deactive করে দেয় জানেন? সব টাকা কি তাহলে জলে চলে গেল ? Gallery October 3, 2024 Bangla Digital Desk ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লেনদেন করতে হয়। তবেই অ্যাকাউন্ট সক্রিয়। গ্রাহক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উভয়ের জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন লেনদেন না করলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এক সময় তা বন্ধ করে দেয় ব্যাঙ্ক। তবে চাইলে সেই অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে পারেন গ্রাহক। সাধারণত দুই বছরের বেশি কোনও লেনদেন না হলে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। তবে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের হিসাব থাকে ব্যাঙ্কের কাছে। আলাদা লেজারে সেগুলি নিয়মিত দেখভালো করা হয়। সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স যদি টানা ১০ বছর পড়ে থাকে তখন তাকে ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট’ হিসাবে দেখা ব্যাঙ্ক। ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট’ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালিত ‘ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ ফান্ডে স্থানান্তর করা হয়। তবে গ্রাহক যে কোনও সময় সেই ডিপোজিট দাবি করতে পারেন। এর সুদও দেওয়া হয়। একইভাবে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত সুদ জমা করে ব্যাঙ্ক। সেই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকুক বা নিষ্ক্রিয়, সুদ জমায় কোনও হেরফের হয় না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম এমনই। কোনও ডিপোজিট যদি ম্যাচিউর হয় এবং গ্রাহক তা দাবি না করেন, তাহলেও সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারে সুদ দেওয়া হয়। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতে, গ্রাহক লেনদেন না করলে সেই অ্যাকাউন্টকে নিষ্ক্রিয় বলে ধরা হবে। অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে ডেবিট লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। যতক্ষন না গ্রাহক কেওয়াইসি দিয়ে ফের সেই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করছেন। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট ফের সক্রিয় করার পদ্ধতি: নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট ফের সক্রিয় করতে হলে ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে গ্রাহককে কেওয়াইসি নথি জমা দিতে হবে। এর সঙ্গে অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার জন্য আবেদন করতে হবে ব্যাঙ্কের কাছে। এরপর গ্রাহকের জমা করা কেওয়াইসি নথি যাচাই করবে ব্যাঙ্ক। সবকিছু ঠিক থাকলে অ্যাকাউন্ট ফের সক্রিয় করা হবে। অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হলে এসএমএস বা মেল মারফত জানানো হবে গ্রাহককে। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করতে তিনদিন সময় লাগে।