এই ফুলে সাধারণত ছয় থেকে সাতটি পাপড়ি থাকে। সব থেকে ভাল ব্যাপার হল, এই ফুল সারা বছরই ফুটে থাকে। দেব-দেবীদের প্রিয় এই ফুল। ঠিক ধরেছেন, টগরের কথাই বলা হচ্ছে। দিনে ৪-৫ ঘণ্টা রোদ পাবে, এমন জায়গায় টগরগাছ রাখুন। এভাবে যত্ন নিলেই অল্প দিনে প্রচুর কুঁড়ি আসবে ও ফুল হবে টগরগাছে।বাগান বিশেষজ্ঞ রমেশ কুমারের মতে, টগর ফুলের গাছ সরাসরি মাটিতে বা পাত্রে লাগানো যায়। গাছ লাগানোর জন্য, কোকো পিট এবং সার মিশিয়ে পাত্রে রাখুন। তারপর পলিথিন থেকে গাছটি আলাদা করে পাত্রের মাটিতে পুঁতে দিন এবং অর্ধেক রোদে ও অর্ধেক ছায়ায় রাখুন। কয়েক দিনের মধ্যে গাছটি বড় হয়ে উঠতে শুরু করবে।মাথাব্যথা থেকে মুক্তি: টগর গাছ থেকে নির্গত দুধ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে মাথা ব্যথা ও চোখের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২. পেটের কৃমির জন্য উপকারী: এর ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করে ১-২ গ্রাম খেলে পেটের কৃমি মারা যায়। ৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এর পাতার ক্বাথ পান করলে উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।ধর্ম বিশেষজ্ঞ চন্দ্রপ্রকাশ ধনধানের মতে, এই ফুলের অনেক ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে। দেবদেবীর উপাসনায় ব্যবহৃত হয়। টগর ফুলে রয়েছে প্রবল ইতিবাচক শক্তি।নিত্যপুজোর ডালিতে টগরফুল অপরিহার্য। এ ছাড়া ঘরে টগর ফুল রাখলে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, টগর বাড়ির পরিবেশকে বিশুদ্ধ করে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করে। (অস্বীকৃতি : উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করে না। নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন)
