বিনোদন চড়া মেজাজের জন্য রাজকুমারকে ডরাতেন সবাই, তিনিই নানা পটেকরের সঙ্গে কাজ করার আগে ভয়ে ভয়ে ছিলেন, তিরঙ্গা-র শ্যুটিং যেভাবে হয়েছিল কল্পনাও করতে পারবেন না Gallery October 7, 2024 Bangla Digital Desk রাত পোহালেই জন্মদিন! কার আবার- ভারতীয় ছবির কিংবদন্তি অভিনেতা রাজকুমারের। ১৯২৬ সালের ৮ অক্টোবর বেলুচিস্তানের লোরালাই এলাকায় কাশ্মীরি পরিবারে জন্ম, পিতৃদত্ত নাম ছিল কুলভূষণ পণ্ডিত। সেই সময়ের বম্বেতে এসে কেরিয়ার শুরু করেন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে। ছবিতে যখন নামলেন, তখনও মেজাজ পুলিশের মতোই চড়া। সবাই তাঁকে ডরাতেন। পর্দার অ্যাংরি ইয়ং ম্যান যদি হন অমিতাভ বচ্চন, বাস্তবে তাহলে রাজকুমার, এ কথা বলতেই হয়। এ হেন রাজকুমারই কিন্তু তিরঙ্গা-য় নানা পটেকরের সঙ্গে কাজ করতে হবে শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে সেই ছবি কীভাবে তৈরি হল, সেই গল্প শুনিয়েছেন প্রযোজক-পরিচালক মেহুল কুমার। তিনি বলেন, ইন্সপেক্টর চরিত্রের অফার নিয়ে তিনি প্রথমে যান চেন্নাইয়ে রজনীকান্তের কাছে। গল্প পছন্দ হলেও রাজকুমারের সঙ্গে কাজ করতে হবে শুনে তালাইভা রাজি হননি। একই কারণে ছবি ফিরিয়ে দেন নাসিরুদ্দিন শাহও। সবশেষে প্রস্তাব যায় নানা পটেকরের কাছে। নানা দুটো কারণে ছবিটা করতে খুঁতখুঁত করছিলেন। প্রথমত এটা বাণিজ্যিক ছবি, দ্বিতীয় কারণ রাজকুমারের মেজাজ। শুধু আর্ট ফিল্ম করে কেরিয়ারের উন্নতি হবে না, এটা মেহুল তাঁকে বোঝাতে সক্ষম হন। আর রাজকুমার সম্পর্কে শর্ত রাখেন নানা- উনি তাঁর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। শর্ত কবুল করে সাইনিং অ্যামাউন্ট দিয়ে ফিরে আসেন মেহুল। এবার রাজকুমারকে নানার কথা বলতেই ঘাবড়ে যান তিনি। বলেন, ও তো সেটে মারধর করে! মেহুল নানার শর্তের কথা বললে রাজকুমার একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হন। কথা দেন, নানাকে তিনি মেজাজ দেখাবেন না, তাঁর কোনও ব্যাপারে থাকবেনও না। তিরঙ্গা-র স্মৃতিচারণে নানা বলেছেন যে সেটে প্রথম দিনেই তিনি রাজকুমারের পা ছুঁয়ে বলেছিলেন যে তিনি পিতৃতুল্য, সম্মানের যোগ্য। সেই সম্মান যাতে বজায় থাকে, তা রাজকুমারের হাতে। জানা যায়, প্রথম দিকে সেটে দু’জনে আলাদা বসতেন। পরে ‘পি লে’ গানের শ্যুটিং করতে গিয়ে দু’জনের মধ্যে সখ্যতা জন্মায়। এভাবেই তৈরি হয় তিরঙ্গা। বক্স অফিসে ঝড় তো তোলেই, পাশাপাশি ভারতীয় ছবির ইতিহাসেও নিজের পাকা জায়গা করে নেয়।